প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৈষম্যের যৌক্তিক সমাধান হবে: গণশিক্ষামন্ত্রী

01প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৈষম্যের যৌক্তি সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার। তিনি বলেন, ‘আগে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষ তৃতীয় শ্রেণিতে ছিলেন, এখন দ্বিতীয় শ্রেণি হয়ে গেছে। বেতন কতটা হলে বৈষম্য থাকবে না, সেটা সরকারের সব অর্গান মিলে করবে। যদি যৌক্তিক হয়, আমি সরকারের কাছে তা তুলে ধরবো।’ বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কয়েক মাসের মধ্যেই হবে। এই মুহূর্তে যারা আন্দোলনের কথা বলছেন, আমি মনে করি তারা বুঝবেন। আওয়ামী লীগ সরকারই কেবল শিক্ষার জন্য সরকারি কর্মচারীর বেতন বৃদ্ধি, সম্মান বৃদ্ধি যেভাবে করেছে, তাদের আশ্বস্ত থাকা দরকার। এই সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে তাদের আশাটা পূর্ণ হতে পারে বলে আমি মনে করি। আমি আহ্বান জানাবো, এই ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত না নিয়ে তাদের অপেক্ষা করা দরকার।’

প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ ও শিক্ষক আন্দোলন প্রসঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যেভাবে বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছেন, বৃটিশ করেনি, পাকিস্তানও করেনি। বঙ্গবন্ধু করেছিলেন, আর শেখ হাসিনা করেছেন। যেটা যৌক্তিক সমাধান সেটাই করা হবে।’

শিক্ষকদের বেতন নিয়ে গণশিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘অন্য দেশের মতো আমরা শিক্ষকদের মূল্য বা সম্মানি দিতে পারি না। পৃথিবীর অনেক দেশ আছে, যেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেতন কাঠামো বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন কাঠামোর মতো। এখন পর্যন্ত আমাদের অর্থনীতি এতোটা মজবুত হয়নি। আমি মনে করি শিক্ষাবান্ধব সরকার এটা ভাববেন এবং করবেন।’

অস্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিকের আওতায় আনার প্রসঙ্গে গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’