অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ঢাবির অনশনকারী শিক্ষার্থী




আমরণ অনশনে ঢাবি শিক্ষার্থী আখতারফাঁস হওয়া প্রশ্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের অভিযোগ তুলে তা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে অনশনকারী শিক্ষার্থী আখতার হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বুধবার (১৭ অক্টোবর) রাতে তার শরীরে স্যালাইন দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) তার শরীর আরও খারাপ হয়ে পড়ে।

শিক্ষার্থীর অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পেয়েছেন জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আমরা তার বিষয়ে খুবই আন্তরিক। তাকে এখুনি অ্যাম্বুলেন্সে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যালে সেন্টারে পাঠানো হবে। সেখানেও সে অনশন করতে পারবে।’

গত মঙ্গলবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে তিনি অনশন কর্মসূচি পালন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থী দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন করার ঘোষণা দিয়েছেন।

আখতার হোসেনের ৪ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- 'ঘ' ইউনিটের ফলাফল বাতিল করতে হবে, পুনরায় পরীক্ষা নিতে হবে, প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে, বিগত বছরে যারা জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১২ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি আমলে নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তায় ৬ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল জালিয়াতির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাও করে ঢাবি কর্তৃপক্ষ। তাদের কাছে ওই প্রশ্নপত্রের হুবহু কপিও পাওয়া যায়। এ কারণে শিক্ষার্থী ও ভর্তি পরীক্ষার্থীদের একাংশের দাবি ছিল পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার। তবে গত ১৬ অক্টোবর ঘ ইউনিটের ফল প্রকাশ করে ঢাবি কর্তৃপক্ষ। এতে ওই ইউনিটে পাসের হার ছিল ২৬ দশমিক ২১ শতাংশ। আর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেছিলেন, প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠলেই ফল প্রকাশ প্রশ্নবিদ্ধ হয় না। এদিকে, ফল প্রকাশের পর থেকেই ঢাবির ঘ ইউনিটের পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে অনশন, মানববন্ধন ও সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।