পাঁচ বিভাগে হচ্ছে ৯ মডেল বিদ্যালয়

নয়টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের ব্রিফদেশের পাঁচ বিভাগে তৈরি হচ্ছে ৯ মডেল বিদ্যালয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) এই সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো তৈরির লক্ষ্যে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এজন্য ৪৩৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে মাউশি সূত্রে জানা গেছে।

মাউশি সূত্রে জানা গেছে, দেশের পাঁচটি বিভাগীয় শহরের মধ্যে রাজশাহীর বিভাগীয় শহরে ২টি ও জয়পুরহাটে ১টি, রংপুরে ২টি, চট্টগ্রাম ২টি, ময়মনসিংহে ১টি,  সিলেট বিভাগের শ্রীমঙ্গলের চা বাগান এলাকায় ১টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে। এসব বিদ্যালয়ে থাকবে আধুনিক ভৌত অবকাঠামো সুবিধা ও যুগপোযোগী শিক্ষা সামগ্রী।

বিভাগীয় শহরের ৭টি বিদ্যালয় হবে ১০ তলাবিশিষ্ট এবং জেলা-উপজেলা শহরের ২টি হবে ৬ তলাবিশিষ্ট। এই ৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট শ্রেণি-সংখ্যা থাকবে ১৮০টি। আইসিটি ল্যাব ১৮, বিজ্ঞানাগার ৩৬, লাইব্রেরি সংখ্যা ৯, মাল্টিপারপাস হল রুম ৯, প্রধান শিক্ষক কক্ষ ৯, সহকারী প্রধান শিক্ষক কক্ষ ১৮, অফিস কক্ষ ১৬, শিক্ষক কমনরুম ১৮, নামাজের ঘর ১৮, দর্শনার্থী কক্ষ ৯, বিএনসিসি  ৯, গার্লস গাইড ৯টি, প্রাথমিক চিকিৎসা কক্ষ ৭, মিড ডে মিল কক্ষ থাকবে ৯, সেমিনার কক্ষ ৭ ও খালি কক্ষ থাকবে ৩৬টি। এছাড়া ইন্টানেট সুবিধাসহ ল্যাপটপ,কম্পিউটার ও কম্পিউটার সামগ্রী, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, বই-পুস্তুক, খেলাধুলার সরঞ্জাম, বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র ও ফ্রিজ কেনা হবে।  

তিন বছর মেয়াদি এই ‘৯টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন’ প্রকল্পটির বাস্তবায়নে ৪৩৫ কোটি টাকা বাজেট ধার্য করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এই প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) প্রাথমিক পর্যায়ের সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একমাসের মধ্যে এটি একনেকের চূড়ান্ত সভায় তোলা হতে পারে বলে জানান গেছে।

প্রতিটি বিদ্যালয়ে থাকবেন একজন প্রধান শিক্ষক, দুইজন সহকারী প্রধান শিক্ষকও বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী ৫০ জন করে সহকারী শিক্ষক থাকবেন প্রতিটি বিদ্যালয়ে। এসব বিদ্যালয়ের জন্য থাকবেন পৃথক ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট, লাইব্রেরিয়ান, সহকারী লাইব্রেরিয়ান, দুই জন স্টুডেন্ট কাউন্সিলর ও একজন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা।

প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত  সময় ধরা হয়েছে। এরমধ্যে প্রতিটি বিদ্যালয়ের জন্য গড়ে ১৯ দশমিক ২৪ একর করে জমি বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০ কোটি টাকা। পাশাপাশি ভূমি উন্নয়ন বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৪ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। ভবন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২১০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। এছাড়া আসবাবপত্রসহ অন্যান্য খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাউশির পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিভিন্ন বিভাগীয় শহরের যে সব স্থানে সরকারি বিদ্যালয় সংকট রয়েছে, সেসব জেলা সদরে নতুন করে ৯টি বিদ্যালয় তৈরি করতে এ প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘একনেকের প্রাথমিক পর্যায়ের সভায় এটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামী মাসের মধ্যে একনেকের চূড়ান্ত সভায় বাজেট পাস হলে প্রকল্প পরিচালকসহ জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে।’ এরপরই প্রথম পর্যায়ে জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করা হবে বলেও তিনি জানান।