ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সকাল ৮টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশের নির্দেশ ছিল। সে অনুযায়ী সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে শুরু করেন। এর আগে ৫ অক্টোবর পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। পরে কর্তৃপক্ষ তারিখ পরিবর্তন করে।
আবরার ফাহাদ হত্যার বিচারসহ ১০ দফা দাবিতে বুয়েটে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে ভর্তিচ্ছুদের দুর্ভোগের কথা ভেবে দুই দিনের জন্য আন্দোলন শিথিল করেছেন তারা।
গিয়াস উদ্দিন নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘ছেলেকে পরীক্ষা দিতে নিয়ে এসেছি। বুয়েটে সব ধরনের ছাত্র রাজনীতি বন্ধ চাই। আমি চাই না রাজনীতির কারণে বলি হোক আমার সন্তান।’
ময়মনসিংহ থেকে আসা রাশেদুল হক বলেন, ‘আবরারের মা আমার স্কুলবন্ধু। আবরারের মা জগন্নাথ কলেজ থেকে পড়ালেখা করার পরও ছেলেদের পড়ানোর জন্য নিজেও চাকরি করেননি। আবরারের ঘটনার পর থেকে আমি নিজেও চাইনি আমার ছেলে এখানে পরীক্ষা দিক। পুকুরের পানি নষ্ট হয়ে গেছে, সেখানে মাছ ছাড়লে বাঁচবে? শুধু বুয়েট না, কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দলীয় ছাত্র রাজনীতি থাকা উচিত না।’
ধানমন্ডি থেকে ছেলেকে পরীক্ষা দিতে নিয়ে এসেছেন খাদিজা আক্তার মহুয়া। তিনি বলেন, ‘আপনারা বলেন পড়ালেখার মধ্যে রাজনীতি দরকার আছে কিনা? স্কুল থেকে শুরু হয় ছেলেমেয়ে নিয়ে দুশ্চিন্তা। এখন আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেমেয়ে পড়তে দিয়ে দুশ্চিন্তা। তাদের পড়তে পাঠিয়েছি, লেখাপড়া ছাড়া তাদের আর কোনও কাজ নাই।’
রংপুর থেকে আসা লেবু বলেন, ‘অভিভাবক হিসেবে আমি চিন্তিত। বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি থাকবে কী থাকবে না, ডিসিশন নেবে কর্তৃপক্ষ।’
রাজনীতিতে ছাত্রদের ভয়েস থাকার বিষয়ে একজন অভিভাবক হিসেবে আপনি কী মনে করেন—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাজনীতি থাকা না থাকা ডিপেন্ড করে সরকারের ওপর। দেশে কারও কোনও মতামতের দাম নাই।’