প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় মোট ২৫ লাখ ৫৩ হাজার ২৬৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ১১ লাখ ৮১ হাজার ৩০০ জন ছাত্র আর ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৯৬৭ জন ছাত্রী আছে। অন্যদিকে ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ৩ লাখ ৫০ হাজার ৩৭১জন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী মিলিয়ে ৩ হাজার ৫৮৩ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী অংশ নেবে। এবার সারাদেশে ৭ হাজার ৪৫৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর দেশের বাইরে ৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বিদ্যালয়গুলো দ্রুত মেরামত করার পাশাপাশি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জাকির হোসেন বলেন, এবার ১১তম বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পরীক্ষা যাতে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছতার সঙ্গে শেষ হয়, সেজন্য সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ ব্যবস্থা ও নিরাপদভাবে প্রশ্নপত্র মুদ্রণ ও বিতরণের কাজ শেষ হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে বিশেষ নিরাপত্তায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে এবং তা সংশ্লিষ্ট থানা ও ট্রেজারি হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরীক্ষার দিন সর্বোচ্চ নিরাপত্তা রেখে সংশ্লিষ্ট প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে। দুর্গম এলাকার ১৪৮টি কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রশ্ন পাঠানো হয়েছে।
প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকছে। মোট ছয় বিষয়ের প্রতিটিতে ১০০ নম্বর করে ৬০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে প্রতিটি জেলার পরীক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শনের জন্য ভিজিল্যান্স টিম গঠন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। এমন ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।