ঢাবির সান্ধ্যকোর্সে ভর্তি স্থগিত, নীতিমালা তৈরিতে কমিটি গঠন

অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বিশেষ সভা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সান্ধ্যকোর্সে ভর্তি কার্যক্রম আপাতত ৫ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে সান্ধ্যকোর্স যুগোপযোগী করার জন্য নীতিমালা প্রণয়নে ১৮ সদস্যের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেলা ৩টা থেকে রাত সোয়া ১০টা পর্যন্ত দীর্ঘ সাত ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ২ শতাধিক শিক্ষক অংশ নেন৷ সান্ধ্যকোর্সের পক্ষে-বিপক্ষে ৬০ জন শিক্ষক মতামত উপস্থাপন করে। বিপক্ষে বেশির ভাগই ছিলেন ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের শিক্ষকরা। সভা শেষে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। 

তিনি জানান, সান্ধ্যকোর্স সময় উপযোগী করার জন্য নীতিমালা তৈরি করতে একটি নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান হলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমদ। অন্য সদস্যরা হলেন- উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন তোফায়েল আহমদ চৌধুরী, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. হাসানুজ্জামান, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন, ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দা তাহমিনা আখতার। 

কমিটিকে পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে সান্ধ্যকোর্সে ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে যাবে। তারপর জাতীয় চাহিদা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা মিলিয়ে দেখে ওই নীতিমালার আলোকে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলোচনা হয়েছে। সান্ধ্যকোর্স যৌক্তিকতা যাচাই কমিটির পেশকৃত প্রতিবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। সেই প্রতিবেদন নিয়ে প্রায় সোয়া ৭ ঘণ্টা আলোচনা হয়। সুপারিশের শুধু এক জায়গায় একটু পরিবর্তন আনা হয়েছে সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে। সেজন্য আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।