৩০ লাখ প্রাথমিক শিক্ষার্থীর বাড়িতে বিস্কুট পৌঁছে দেওয়া হবে

1সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া প্রায় ৩০ লাখ শিশুর বাড়িতে বরাদ্দকৃত খাদ্য পৌঁছে দিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। ডব্লিউএফপি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে বিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকায় যেসব শিক্ষার্থীদের মাঝে খাদ্য সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছিল না।
মে থেকে শুরু করে জুনের শেষ পর্যন্ত ৭ হাজার ৪০০ মেট্রিক টনেরও বেশি বিস্কুট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। সারাদেশের ১০৪টি উপজেলার ১৫,২০০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৭৫ গ্রাম ওজনের বিস্কুটের প্যাকেট পাবে, যেখানে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি কক্সবাজার এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের ১০টি উপজেলায় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর ৯৪টি উপজেলায় বিস্কুট বিতরণ করবে। এসব বিস্কুট ভিটামিন ও পুষ্টিতে ভরপুর যা শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য অপরিহার্য।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, করোনাভাইরাস দেশের হাজার হাজার মানুষের পুষ্টিকর খাবারের সহজলভ্যতা বাধাগ্রস্ত করেছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পুষ্টিহীনতা থেকে রক্ষা করতে পারছি। বাড়িতে, বাড়িতে খাদ্য পৌঁছে দিয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদেরও এই সংকট মোকাবিলায় সহযোগিতা করতে পারছি।
বাংলাদেশে ডব্লিউএফপির কান্ট্রি ডিরেক্টর রিচার্ড রাগান বলেন, এই কঠিন সময়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিশু এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা যেন খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে সহায়তা পায় সেটা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। ‘স্কুল ফিডিং প্রকল্প’ সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে এই অতি প্রয়োজনীয় পুষ্টির উৎসকে সহজলভ্য করার জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।