জাতীয় কিন্ডারগার্টেন স্কুল-কলেজ ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদের সভাপতি আহসান সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশের প্রায় সব কিন্ডারগার্টেন স্কুল-কলেজ ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান নিজস্ব অর্থায়নে ভাড়া বাড়িতে পরিচালনা করে আসছে। সারা বাংলাদেশে প্রায় ৬৫ হাজারের মতো এরকম প্রতিষ্ঠান আছে। এতে প্রায় ১২ লাখ শিক্ষক কর্মচারী নিয়োজিত। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পূর্ণভাবে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে পাওয়া টিউশন ফি দিয়ে পরিচালিত হয়। করোনার কারণে গত ১৬ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বাড়িভাড়াসহ শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই অবস্থায় আগামী ২/৩ মাসের মধ্যে আমাদের শতকরা ৮০ শতাংশ বন্ধ হয়ে যাবে। যদি ৮০ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায় সেটা হবে বিশ্বে বাংলাদেশের জন্য একটি অন্যরকম অধ্যায় ।
তিনি বলেন, আমরা কোথাও ত্রাণের জন্য হাত পাততে পারছি না। আবার আমাদের এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানে ব্যাংকগুলাও ঋণ প্রদান করে না। এই মহামারিতে আমাদের আয় রোজগার বন্ধ থাকলেও সংসার খরচ ও বাড়িভাড়া থেমে নেই। এমতাবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের প্রতি সুনজর না দিলে আমরা নিঃস্ব হয়ে না খেয়ে ধুকে ধুকে মরবো। ইতিমধ্যে কয়েকজন শিক্ষক আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।