প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে কোটা থাকছে না

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, আনসার-ভিডিপি, প্রতিবন্ধী ও জেলা কোটা বাদ দিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। তবে নির্ধারিত ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রাথমিকের শিক্ষক পদটি ১৩তম গ্রেড হওয়ার কারণে এই প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবটি মন্ত্রণালয় বিবেচনার পর বিজ্ঞপ্তি জারি করবে। বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ্।
জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা এখনও কাজ করছি বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ্ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শিক্ষকতায় নারীদের আনার জন্য নারী ও পুরুষের জন্য কোটা রেখে প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া পোষ্য কোটা রয়েছে। প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় নির্দেশ দিলে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত কোটা না রাখার বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে কোটা বাদ দেওয়া হয়েছে। এর আগে মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, আনসার-ভিডিপি, প্রতিবন্ধী ও জেলা কোটা সংরক্ষণ করা হতো। তবে ১৪ থেকে ২০তম গ্রেডে নিয়োগের ক্ষেত্রে এসব কোটা রাখা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষকের শূন্য পদ ২৬ হাজারের বেশি। এছাড়া গত জুন মাস থেকে এখন পর্যন্ত সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়েছে এসব পদের বিপরীতে নিয়োগ দেওয়া হবে।