প্রাথমিকের প্যানেলের দাবিতে জেলায় জেলায় মানববন্ধন

1সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল দাবিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এই কর্মসূচি পালন করে ২০১৪ স্থগিত ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ প্যানেল প্রত্যাশীরা।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বগুড়া, ভোলা, সুনামগঞ্জ, শরিয়তপুর, পিরোজপুর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ময়মনসিংহ, সিলেট, হবিগঞ্জ, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
মানববন্ধনে প্যানেল প্রত্যাশীরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন মামলা জটিলতায় ২০১৪ সালের নিয়োগটি চার বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল। ফলে তাদের জীবনে থেকে চারটি বছর চলে যায়। চার বছর পর ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে যখন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তখন শূন্যপদ পূরণ না করেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
২০১৪ স্থগিত ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ প্যানেল প্রত্যাশী সংগঠনের আহ্বায়ক সালেহা আক্তার বলেন, ‘নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময়ক্ষেপণ এবং শূন্যপদ পূরণ না করে নিয়োগ সম্পন্ন করার দায় চাকরিপ্রার্থীদের ওপর কেন বর্তাবে? আমরা প্যানেল চাই, নয়তো চার বছর ফেরত চাই। করোনার সময় নতুন করে বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে মুজিববর্ষে দেশের বেকারত্বের অভিশাপ ঘোচাতে প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হোক।
এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর নরসিংদী, চুয়াডাঙ্গা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নেত্রকোনা, নওগাঁ, ময়মনসিংহ, হবিগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, কুমিল্লা, বাগেরহাট, বরিশাল, ফেনী সুনামগঞ্জ, জামালপুর, শরিয়তপুর, দিনাজপুর কক্সবাজার, ভোলা, বগুড়া, পাবনা, চট্টগ্রাম, পিরোজপুর, কিশোরগঞ্জ, চাঁদপুর, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, এসব জেলায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয় প্যানেল প্রত্যাশীরা।
২০১৪ সালে স্থগিতের পর ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৯ হাজার ৭৮৮ জন এবং ২০১৮ সালে নিয়মিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩৭ হাজার ১৪৮ জন প্যানেলভুক্তির দাবি জানিয়ে আসছেন।
তবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন আগেই জানিয়ে দিয়েছেন ‘প্যানেল করার সুযোগ নেই।’