আগামী বছর থেকেই চালু হচ্ছে দুই বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়দুই বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু হচ্ছে ২০২১ সাল থেকে। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের কাছে তার অফিস ‘প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ৪ প্লাস’ অন্তর্বর্তীকালীন এই প্যাকেজ হস্তান্তর করেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি)চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা।
প্যাকেজ অনুযায়ী ২০২১ সালে নির্বাচিত ২ হাজার ৬৩৩টি ক্লাস্টারে একটি করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই বছর মেয়াদি ৪ প্লাস বয়সী শিশুদের জন্য প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর ২০২২ সালে সারাদেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হবে।

হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এনসিটিবি'র সদস্য অধ্যাপক ড একেএম রিয়াজুল হাসান, ঊর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ  অধ্যাপক কুররাতুল আয়েন সফদার ও গবেষণা কর্মকর্তা মো. আবুল বাসার উপস্থিত ছিলেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে পরবর্তী পর্যায়ের মানসম্মত শিক্ষা অর্জনের একটি গভীর সংযোগ রয়েছে। প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ছোট ছোট শিশুদের শারীরিক, মানসিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, ভাষাগত ও সামাজিক বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।  এছাড়া সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ -এ ২ বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালুর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী প্রাথমিক  ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রণীত কর্মপরিকল্পনায় প্রাক-প্রাথমিক স্তর এক বছর থেকে দুই বছরে উন্নীত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। 

পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৩ জুন প্রধানমন্ত্রী ৪ প্লাস বয়সী শিশুদের জন্য প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার বিষয়টি অনুমোদন করেন।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে অন্তর্বর্তীকালীন প্যাকেজের মাধ্যমে সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে ৫ প্লাস বছর বয়সী শিশুদের জন্য এক বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে প্রণীত জাতীয় শিক্ষাক্রমের ভিত্তিতে ২০১৪ সালে ৫ প্লাস বয়সী শিশুদের জন্য সারাদেশে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা রয়েছে।