বুধবার (২৮ অক্টোবর) এই ঘটনায় নেত্রকোনা জেলা শিক্ষা অফিসার মো. ওবায়দুল্লাহ সাময়িক ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করে আদেশের অনুলিপি পাঠান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এক আদেশে অনুমোদন ছাড়া অর্জিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সনদের বৈধতার আদেশ জারি করে। সরকারি এই আদেশের সমালোচনা করে ফেসবুকে পোস্ট দেন তুষার চৌধুরী।
তুষার তার ফেসবুকে পোস্টে উল্লেখ করেন, ‘নিয়মিত ক্লাস করছেন, নিয়মিত চাকরি করছেন, একই ব্যক্তি একসঙ্গে দুই জায়গায় উপস্থিত, সরকারি হিসাব মতে, শিক্ষক হাজিরাতে স্বাক্ষর করেছেন এবং কলেজে ছাত্র হাজিরায় ৬০ শতাংশ ন্যূনতম উপস্থিতি ছাড়া পরীক্ষা দিতে পারেন না। যা বিদ্যমান চাকরি বিধিমালা, নিয়মিত উপস্থিতি বিষয়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিপুল পরিমাণের ঘুষ লেনদেন ব্যতিত এই আদেশ জারি হতে পারে না। দুর্নীত দমন কমিশনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নতুন জাতীয়করণ করা অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বেসরকারিভাবে লেখাপড়া করেছেন তাদের সনদের বৈধতা দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন বেসরকারি শিক্ষক হিসেবে চাকরি করেছেন, সেই সঙ্গে নিজের ক্যারিয়ার গড়া লক্ষ্যে লেখাপড়া করেছেন। সেসব বিষয়সহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে প্রাথমিক শিক্ষকদের কল্যাণে বিশেষ বিবেচনায় সরকার এই আদেশ জারি করেছে। অথচ সেই শিক্ষকরাই সমালোচনা করছেন নিজেদের বিরুদ্ধে।