ত্রুটিপূর্ণ চাহিদা পাঠানোয় দুই প্রধান শিক্ষকের ৩ মাসের বেতন কর্তন

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন প্রত্যায়ন ও কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কাছে ত্রুটিপূর্ণ চাহিদা পাঠানোর কারণে দুই প্রধান শিক্ষকের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ কর্তন করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত আলাদা আদেশ জারি করা হয়।

দুই প্রধান শিক্ষক হচ্ছেন— লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার আলীপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম এবং যশোরের মনিরামপুর উপজেলার আহমদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতিয়ার রহমান। এই দুই শিক্ষকের তিন মাসের বেতন কর্তন করতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়।

আদেশে বলা হয়, ২০১৮ সালের ১২ জুনের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী নতুন বৃদ্ধি করা পদে নিয়োগের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা আদেশ জারি করার বিধান ছিল। বৃদ্ধিপ্রাপ্ত নতুন পদে নিয়োগের জন্য আলাদা আদেশ জারির আগেই বৃদ্ধি পাওয়া নতুন পদকে শূন্য পদ দেখিয়ে ২০১৯ সালের দ্বিতীয় নিয়োগ চক্রের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের জন্য এনটিআরসিএতে ত্রুটিপূর্ণ চাহিদা পাঠানো হয়। এনটিআরসিএ কর্তৃক মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়ে সুপারিশ পাওয়ার পরও ত্রুটিপূর্ণ চাহিদার কারণে সুপারিশপ্রাপ্ত দুই শিক্ষক এমপিওভুক্ত হতে পারেননি।