এনটিআরসিএ-তে ভুল চাহিদা পাঠানোয় বেতন কাটা

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন প্রত্যায়ন ও কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কাছে ত্রুটিপূর্ণ চাহিদা পাঠানোর কারণে ১৫ জন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের ৩ মাসের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ কর্তন করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে এ সংক্রান্ত নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ৬ জন এবং বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) স্বাক্ষরিত ৬ জনসহ মোট ১৪ জন প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষের তিন মাসের বেতন কর্তনের আদেশ জারি করা হয়।

আদেশে বলা হয়, ২০১৮ সালের ১২ জুনের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী নতুন বৃদ্ধি করা পদে নিয়োগের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা আদেশ জারি করার বিধান ছিল। বৃদ্ধিপ্রাপ্ত নতুন পদে নিয়োগের জন্য আলাদা আদেশ জারির আগেই বৃদ্ধি পাওয়া নতুন পদকে শূন্যপদ দেখিয়ে ২০১৯ সালের দ্বিতীয় নিয়োগ চক্রের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের জন্য এনটিআরসিএতে ত্রুটিপূর্ণ চাহিদা পাঠানো হয়। এনটিআরসিএ কর্তৃক মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়ে সুপারিশ পাওয়ার পরও ত্রুটিপূর্ণ চাহিদার কারণে সুপারিশপ্রাপ্ত দুই শিক্ষক এমপিওভুক্ত হতে পারেননি।

যেসব প্রতিষ্ঠান প্রধানের বেতন কর্তনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা হচ্ছেন— সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাহুকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন সাহা, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার বাগান বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চৌধুরী মো. উমাম উদ্দিন নুরী, জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার বাঘডোবা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ মিজান উল মওলা, ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার বি আর কে এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জামিরুল ইসলাম, বরিশালের হিজলা উপজেলার বদন টুনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইব্রাহিম খলিল, বগুড়া সদর উপজেলার আলোর মেলা কেজি অ্যান্ড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্রী সুশীল কুমার পাল, খাগড়াছড়ির দিঘীনালা উপজেলার অনাথ আশ্রম আবাসিক উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল হক, বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার আন্ধারমানিক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পিটুন মিত্র, পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার আংগারিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল চন্দ্র লস্কর, পিরোজপুর সদর উপজেলার এপেক্স ক্লাব নৈশ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মীর নজরুল ইসলাম, টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার আহাম্মদ আলী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম হামিদ, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার আলীপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম এবং যশোরের মনিরামপুর উপজেলার আহমদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতিয়ার রহমান।

এছাড়া তিন মাসের বেতন কর্তনের নির্দেশ দেওয়া কলেজের অধ্যক্ষে দুই জন হলেন—রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার উপজেলার বাদগঞ্জ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বিমলেন্দু সরকার এবং বগুড়ার কাহালু উপজেলার আজিজুল হক মোমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোজাফফর হোসেন।