‘যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা চালু হবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে’

একযোগে দেশের সব পর্যায়ের (সাধারণ, কারিগরি ও মাদ্রাসা) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌনপ্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শনিবার (৬ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক ওয়েবিনারে তিনি এ কথা জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘জেনারেশন ব্রেক থ্রু প্রকল্প’ সীমিত আকারে শুরু করা হয়েছিল। মাঝখানে পরিকল্পনা করা হয়েছিল। আমার কাছে উপস্থাপিত হয়েছিল দুটো বিভাগে হবে। কিন্তু আমি বলেছি— দুটি বিভাগ একটি বিভাগের বিষয় নয়। এটি সারাদেশের সকল শিশুদের জন্য প্রযোজ্য। কাজেই অন্য কোনও কর্মসূচি আমরা পর্যায়ক্রমে বাড়াতে পারি কিন্তু এই কর্মসূচি যেহেতু সফল বলে আমাদের কাছে মনে হয়েছে।

এ পর্যন্ত যা মূল্যায়ন হয়েছে তাতে এ প্রকল্পটি কার্যকর। সে কারণে সারাদেশে আমরা একযোগে সারা দেশে শুরু করছি।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, জেনারেশন ব্রেক থ্রু প্রকল্পের মধ্যেই কিশোর-কিশোরী কর্নার আছে। বিভিন্ন ধরনের বই আছে। প্রশিক্ষক শিক্ষক দিয়ে পরিচালনা করা হয়। আমরা দেখেছি, এতে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। শিক্ষার্থীরা নিজেদের ম্যানেজ করা অন্যদের সঙ্গে প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষার বিষয়গুলো দক্ষতার সঙ্গে শেয়ার করে শিখে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, জেনারেশন ব্রেক থ্রু প্রকল্পটি ২০১৪ সাল থেকে শুরু হয়ে চলে ২০১৮ সাল পর্যন্ত। প্রকল্পের মেয়াদ সফলভাবে শেষ হওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বপ্রণোদিত হয়ে কার্যক্রম চালায়। প্রকল্পের সফলতার ভিত্তিতে দেশব্যাপী সকল প্রতিষ্ঠানকে এর আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে এতে উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর ড. মোহাম্মদ শরীফ (এমসিএইচ)। ‘কিশোর-কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার বর্তমান অবস্থা’ বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করেন নারীপক্ষের সদস্য ও নারীর স্বাস্থ্য এবং প্রজনন স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রকল্প পরিচালক সামিয়া আফরিন। এ বিষয়ের ওপর বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির ফেলো অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের ড. সাবিনা ফাইজ এবং পিপিআরসি’র কথা রিসার্চ অ্যাসোসিয়েটের পরিচালক উমামা জিল্লুর। সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী প্রধান শাহীন আনাম।