প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি স্থায়ী করতে ডিপিই’র নির্দেশনা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের চাকরি এক সপ্তাহের মধ্যে স্থায়ী করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। না হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) স্বাক্ষরিত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের এ সংক্রান্ত আদেশ বুধবার (৭ এপ্রিল) প্রকাশিত হয়।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, দেশের কিছু কিছু জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার চাকরি স্থায়ীকরণ না করে সময়ক্ষেপণ করছেন। অসৎ উদ্দেশে স্থায়ীকরণ আটকে রেখে শিক্ষকদের হয়রানি করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু শিক্ষক জানিয়েছেন স্থায়ীকরণ আটকে রাখা হয়েছে অবৈধভাবে টাকা উপার্জনের জন্য।

এই পরিস্থিতির পর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মহাপরিচালক আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলম সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেন। মহাপরিচালক মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রাতে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কিছু কর্মকর্তারা স্থায়ীকরণের বিষয়টি আটকে রেখেছেন। আমি জানতে পেরে ব্যবস্থা নিয়েছি।’

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের আদেশে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পদোন্নতি পাওয়া বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে নিয়োগকৃত প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের চাকরি চাকরি স্থায়ীকরণের বিষয়টি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কর্তৃক সম্পন্ন হয়েছে। কোনও কোনও জেলায় তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের ক্ষেত্রে অযাচিতভাবে দীর্ঘসূত্রিতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যা সরকারি সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এমতাবস্থায় সকল পদোন্নতিপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে নিয়োগকৃত প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের পত্রপ্রাপ্তির সাত কর্মদিবসের মধ্যে চাকরি স্থায়ীকরণ সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ করা হলো। এর ব্যতয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।