মাধ্যমিকের অনলাইন ক্লাস মনিটরিংয়ের নির্দেশ

দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের  অনলাইন ক্লাস মনিটরিংয়ের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। কোন কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনলাইন ক্লাস পরিচালনা করছে এবং কারা করছে না, তার তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাকালে প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম নিশ্চিত করা এবং অনলাইন ক্লাস ইন্টারেক্টিভ করতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, ‘করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে আসলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে না দেওয়া পর্যন্ত দেশের প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অনলাইন ক্লাস, সংসদ টেলিভিশন ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচালিত শিক্ষা কার্যক্রম কার্যকর করা হচ্ছে। এছাড়া লকডাউন শেষ হলে অ্যাসাইনমেন্ট ব্যবস্থা আবারও চালু করা হবে।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় জানা গেছে, প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত দেশের মাধ্যমিক স্তরের সকল শিক্ষার্থীকে কার্যকর সংসদ টিভি এবং অনলাইন ক্লাসে যুক্ত করতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়ছে।  অনলাইন ক্লাস এবং সংসদ টিভিতে পরিচালিত ক্লাস পরিচালনা এবং শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে মনিটরিং করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।  

গত ৫ মে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং অনলাইন ক্লাসের সমন্বয় করে রুটিন তৈরিসহ ৫ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

অনলাইন ক্লাস মনিটরিংয়ে ৫ দফা নির্দেশনা:

১) যে সকল বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনলাইন ক্লাস নিচ্ছে না বা নিতে পারছে না, তার পরিসংখ্যান সংগ্রহ করতে হবে এবং জরুরিভিত্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরকে জানাতে হবে।

২) জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত অনলাইন ক্লাসে উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের  যুক্ত করার ব্যবস্থা নিতে হবে।

৩) স্কুল কর্তৃপক্ষ পরিচালিত অনলাইন ক্লাসগুলো ‘জুম’  বা ‘গুগল মিট’ বা ‘মাইক্রো সফট টিম’ বা অন্য যেকোনও মাধ্যমে মিথস্ক্রিয় করার ব্যবস্থা নিতে হবে।

৪) সংসদ টিভি, স্কুল কর্তৃপক্ষ পরিচালিত অনলাইন ক্লাস, জেলা ও উপজেলা অনলাইন ক্লাসগুলো অগ্রাধিকার দিয়ে ক্লাস রুটিন প্রস্তুত করতে হবে।

৫) কার্যক্রমগুলো যথাযথভাবে করা হচ্ছে কিনা, তার জন্য কার্যক্রর মনিটরিং ব্যবস্থা নিতে হবে।