শিক্ষা অফিসারদের কাছে বরাদ্দের ব্যাখ্যা চেয়েছে অধিদফতর

সরকারি প্রাথমিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বড় ধরনের মেরামতের জন্য চাওয়া বরাদ্দের অনেক ক্ষেত্রেই যৌক্তিকতা নেই। আর সে কারণে কেন বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।

মঙ্গলবার (১৮ মে) ব্যাখ্যাসহ তথ্য ও ডকুমেন্ট পাঠানোর দেওয়ার শেষ দিন। গত ১১ মে স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ২৮ জানুয়ারি নদী ভাঙন, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, অগ্নিকাণ্ড ও অন্যান্য কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বা জরাজীর্ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে অস্থায়ী গৃহ নির্মাণ, বিদ্যালয় মেরামত ও সংস্কারের জন্য তথ্য চায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে বরাদ্দ চাওয়া ২৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করে দেখা গেছে বেশ কিছু বিদ্যালয়ের বরাদ্দ চাওয়ার যৌক্তিকতা নেই।

গত ১১ মে স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, বড় ধরনের মেরামতের জন্য মাঠ পর্যায়ের চাহিদা সংগ্রহ করে যে তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে, ওই তালিকার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত প্রাক্কলেনের যৌক্তিকতা নেই।

বড় ধরনের মেরামতের প্রাক্কলনের যৌক্তিকতা পুনঃ যাচাই করে সুস্পষ্ট মন্তব্যসহ নির্ধারিত ছকে পাঠানো এবং প্রতিটি বিদ্যালয়ের মেরামতের চাহিদা যৌক্তিকতা নিশ্চিত করতে বিদ্যালয়গুলোর এ সংক্রান্ত রঙিন ছবি পাঠানো জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু যাচাই করা তথ্য এবং ডকুমেন্ট পাওয়া যায়নি।

এমতাবস্থায় যাচাই করা তথ্য এবং ডকুমেন্ট আবশ্যিকভাবে আগামী ১৮ মে’র মধ্যে পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) বরাবর পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।