রাবির সাবেক ভিসির নিয়োগ কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪১ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ কার্যক্রম তদন্তে গঠিত কমিটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

রবিবার (২৩ মে) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর বিকালে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘৯টি সুপারিশ করে সকালে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনটি ২২ পৃষ্ঠার। এর সঙ্গে ২৯টি অ্যাটাচমেন্ট রয়েছে।’

অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ কথা বলবো না। অভিযোগ প্রসঙ্গে যে সব তথ্য উপাত্ত পেয়েছি তাই জমা দিয়েছি।’

গত ৫ মে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী অ্যাডহক ভিত্তিতে ৯ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ১৪১ জনকে নিয়োগ দেন। নিয়োগ পাওয়া প্রায় সব শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী পরদিন উপাচার্যের মেয়াদের শেষ দিন ৬ মে যোগদান করেন। নিয়োগ দেওয়া শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিকাংশই সরাসরি ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী, আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে অবস্থান নেওয়া পরিবারের সদস্য বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সূত্র জানায়। এই নিয়োগ কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এসব ঘটনায় গত ৬ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই নিয়োগ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীরকে আহ্বায়ক করে গঠন করা কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব ড. মো. জাকির হোসেন এবং সদস্য সচিব ইউজিসির পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান।

নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে এক সপ্তাহের মধ্যে। তবে কমিটি দুই সপ্তাহের বেশি সময় পর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলো।