ঢাবিতে আবাসন-পরিবহন ফি প্রত্যাহারের দাবি ছাত্রলীগের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) আবাসন ও পরিবহন ফি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। এছাড়া সব শিক্ষার্থীকে দ্রুত ভ্যাকসিনের আওতায় আনা, মাদকমুক্ত ক্যাম্পাসের নিশ্চয়তা, আবাসন সংকট নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের রোড়ম্যাপ প্রণয়ন, মেডিক্যাল সেন্টার আধুনিকায়ন ও কোভিড-১৯ চিকিৎসার সুব্যবস্থার দাবি জানানো হয়েছে।

সোমবার (২১ জুন) দুপুর সোয়া ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সমাবেশে নেতাকর্মীরা এ দাবি জানান।  সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ও সঞ্চালন করেন ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।

সমাবেশে সঞ্জিত চন্দ্র দাস বলেন, ‘করোনার কারণে দীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা নানারকম মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক শিক্ষার্থী আত্মহত্যাও করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলতে চাই, আপনারা অতিদ্রুত শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিনের আওতায় এনে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করে এই ক্ষতি থেকে রক্ষা করুন। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উন্নত করে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনতে হবে।’

সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলবো, সরকারের যে নৈতিক অঙ্গিকার (দারিদ্র্য বিমোচন), সেই নৈতিক অঙ্গিকারের প্রতি সমর্থন রেখে আবাসিক ফি সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করে নেবেন। যাতে করে কৃষক-শ্রমিক পরিবারের সন্তানেরা স্বাভাবিকভাবে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা পরিবহন সুবিধা গ্রহণ না করেও তাদের এক হাজার ৮০ টাকা করে পরিবহন ফি দিতে হচ্ছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধিক্কার জানিয়ে বলছি, আপনারা অভিভাবকসুলভ আচরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আমাদের আহ্বান আপনারা পরিবহন ফি নেওয়া বন্ধ করেন। যদি তা প্রত্যাহার না করেন, আমরা মনে করবো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নৈতিকতা ভুল পথে চলে গেছে।’

তিনি আর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সব শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সমন্বয়হীনতার কারণে মেডিক্যাল কলেজ, ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীরা টিকার আওতায় আসলেও আমরা এখনও আসিনি। অনতিবিলম্বে সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় নিয়ে আসার ব্যাবস্থা করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে আমরা যে মাস্টারপ্ল্যান পেয়েছি, তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ১৮ হাজার শিক্ষার্থীর আবাসনের সুযোগ রয়েছে।’

এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কোনও ধরনের রাজনৈতিক ছত্রছায়া ছাড়া মাধকবিরোধী অভিযান পরিচালনার আহ্বান জানান। ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের দুই শতাধিক নেতাকর্মী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।