আসবে মডিউলার এডুকেশন, উচ্চশিক্ষায় থাকবে না বয়সের বাধা

ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষায় ‘মডিউলার এডুকেশন সিস্টেম’ চালু করার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সেই সঙ্গে উচ্চশিক্ষায় বয়সের বাধাও উঠে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বুধবার (৩০ জুন) ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্র্যাব) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

মডিউলার শিক্ষা পদ্ধতি হলো নতুন ধরনের একটি শিক্ষা পদ্ধতি; যে পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা চাইলে নিজেদের মতো, প্রয়োজনীয় কোর্স বেছে নিতে পারেন। এমনকি নিজেদের প্রয়োজনীয় প্র্যাকটিক্যাল কোর্সও বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকে। একই সঙ্গে এই পদ্ধতিতে ডিগ্রি সম্পন্ন করতে কোন বাঁধা-ধরা সময় নির্ধারণ করা থাকে না। তাই কোনও শিক্ষার্থী নিজের প্রয়োজন মতো স্কিল শেখার পর ইচ্ছা করলে চাকরি শুরু করতে পারেন এবং আবার চাইলে ফিরে এসে ডিগ্রি সম্পন্ন করতে পারেন।

শিক্ষামন্ত্রী নতুন এই শিক্ষা ব্যবস্থার কথা তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মডিউলার এডুকেশন, অর্থাৎ ডিগ্রিকে ভেঙে ভেঙে ছোট ছোট কোর্স করা হবে। প্রত্যেকটি কোর্সে নতুন নতুন স্কিল শেখানো হবে।

শিক্ষার্থীরা যেকোনও রকম দক্ষতা নিয়ে বের হতে পারবেন জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের সে রকমই শিক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় দেওয়া হবে। তাদের সফটস্কিল, সোশ্যাল স্কিল শেখানো হবে।

এসময় শিক্ষামন্ত্রী ব্ল্যান্ডেড লার্নিং-এর কথাও জানান। ব্ল্যান্ডেড লার্নিং মূলত একটি নতুন পাঠদান পদ্ধতি; যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সরাসরি শ্রেণি শিক্ষার পাশাপাশি অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমে শিখতে পারেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা ব্ল্যান্ডেড লার্নিং করছি, শিক্ষার্থীরা অন্য জায়গা থেকেও লেখাপড়া করতে পারবেন। কারিগরি শিক্ষায় বয়সের বাধা আমরা রাখিনি, উচ্চশিক্ষাতেও বথাকবে না বলে আমরা মনে করি। শিক্ষার্থীরা যে কোনও সময় যে কোনও জায়গায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন- সে ব্যবস্থা আমরা তৈরি করছি। যে স্কিলগুলো প্রয়োজন সেগুলো যারা গ্রাজুয়েট হচ্ছেন তারা যেন শিখতে পারেন সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগের প্রসঙ্গ টেনে দীপু মনি বলেন, শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে অনেক কথা বলা হয়। শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশিকা শিথিল করা হয়েছে। বিদেশে অনেক দক্ষ শিক্ষক রয়েছেন, তারা যদি দেশে আসতে চান, তাদের নিয়োগের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

কারিকুলাম সংশোধনের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সার্বিকভাবে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত একইসূত্রে গাঁথা।