উপবৃত্তির প্রতারণা ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের প্রতারণার হাত রক্ষা করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।  বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করে।

এর আগে গত ২৯ জুন প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির অর্থ যেন প্রতারকদের হাতে না যায়, সেই ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বিভাগীয় উপপরিচালকদের। ইতোমধ্যে এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রতারকদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে অধিদফতর।

ওই অফিস আদেশের পর বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দেশের সকল জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হলো।

 নতুন অফিস আদেশে বলা হয়, সিলেট ও চট্টগ্রামসহ সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় কোনও কোনও বিদ্যালয়ের দফতরি কাম নৈশ প্রহরীসহ অন্যান্য প্রতারক চক্র অভিনব পদ্ধতিতে অভিভাবকদের সঙ্গে প্রতারণা করে উপবৃত্তির টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় এমন ঘটনা উৎঘাটিত হওয়ায় বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সারাদেশের আরও অনেক স্থানে এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আদেশে আরও বলা হয়, তাছাড়া বিভিন্ন প্রতারক চক্র বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় অভিভাবকদের ওটিপি/পিনম্বরসহ অন্যান্য তথ্য প্রতারণা করে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে আর্থ আত্মসাৎ করছে। এটি খুবই গর্হিত কাজ, যা কাম্য নয়। প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের ঘটনার পুরাবৃত্তি যেন আর কোথাও না ঘটে, সে বিষয়ে জরুরি প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

অফিস আদেশে আরও জানানো হয়, আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইতোমধ্যে নগদ অ্যাকাউন্টে অভিভাবকরা পিন সেট আপ করার সুবিধাসহ নগদ পোর্টালে প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা শিক্ষা অফিসাররা যাতে নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিফিন অ্যালাউন্সের অর্থ বিতরণ, ক্যাশ আউট এবং অনুত্তোলিত অর্থের তথ্য পোর্টালে দেখতে পান, সে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।