মুজিববর্ষেরই জাতীয়করণের ঘোষণা চান শিক্ষকরা

মুজিববর্ষেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের ঘোষণা চান বেসরকারি শিক্ষকরা। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকরা।  

বুধবার (৪ আগস্ট) বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বাশিস) প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের মুখপাত্র নজরুল ইসলাম রনি এবং ফোরামের মহাসচিব মোহাম্মদ আতিকুর রহমান তালুকদার লিখিত আবেদন করেন মঙ্গলবার (৩ আগস্ট)।

আবেদনে শিক্ষকরা বৈষম্যহীন জাতি গঠনে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণে প্রধানমন্ত্রীর প্রয়োজনীয় সহযোগিতা চেয়েছেন।

আবেদনে বলা হয়, শিক্ষায় অবকাঠামোগত প্রভূত উন্নয়ন ঘটেছে কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা এখনও চরম বৈষম্যমূলক, গতানুগতিক নানা ধারায় বিভাজিত। জাতির জনক ১৯৭৩ সালে জাতীয়করণ শুরু করেন। দীর্ঘ ৩৪ বছর পর আপনি ক্ষমতায় এসে ২০১৮ সালে ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট, ১০০ টাকার বাড়ি ভাড়া এক হাজার টাকা এবং ১৫০ টাকার চিকিৎসাভাতা ৫০০ টাকায় উন্নীত করেছেন। বেশ কিছু বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করাসহ শিক্ষকদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করেছেন।     

এমপিওভুক্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের যুক্তি তুলে ধরে আবেদনে বলা হয়, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফান্ডের টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ ঘোষণা করা হলে সরকারের তেমন অতিরিক্ত খরচের প্রয়োজন হবে না।

যোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের আহ্বান জানিয়ে নজরুল ইসলাম রনি বলেন, ‘১৯৭২ সালের সংবিধানের ১৭(ক) ধারায় বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শন অবৈতনিক শিক্ষার কথা উল্লেখ থাকলেও স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এ ছাড়াও এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ২৫ শতাংশ ঈদ বোনাস এবং কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ ঈদ বোনাস দেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘ ১৭ বছরেও এই বৈষম্য পরিবর্তন হয়নি। অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকরা দীর্ঘ ২৯ বছরেও এমপিওভুক্ত হতে না পেরে চরম অর্থ সংকটে দিনযাপন করছেন। এ ছাড়াও এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী এবং সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বৈষম্য আকাশ ছোঁয়া।’