এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা দিলেন রেকর্ড সংখ্যক শিক্ষার্থী

দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯১৫ জন শিক্ষার্থী; যা বিগত যেকোনও বছরের তুলনায় সর্বোচ্চ। 

শুক্রবার (১ এপ্রিল) সকাল ১০টায় দেশের ৫৭টি ভেন্যুতে পরীক্ষা শুরু হয়। এমসিকিউ পদ্ধতিতে এ পরীক্ষা চলে ১১টা পর্যন্ত। ১৮টি মেডিক্যাল কলেজ ও একটি ডেন্টাল কলেজে মোট ১৯টি কেন্দ্রে অধীনে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট ৪ হাজার ৩৫০টি আসনের বিপরীতে এবারের এমবিবিএস মেডিক্যাল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন করেন ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯১৫ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ঢাকায় অংশ নিয়েছে ৬১ হাজার ৬৭৮ জন প্রার্থী। মেডিক্যাল কলেজের একটি আসনের বিপরীতে ৩৩ দশমিক ০৮ জন করে প্রার্থী অংশ নিয়েছে; যা বিগত যেকোনও বছরের তুলনায় বেশি।

পরীক্ষা কেন্দ্রের সার্বিক পরিস্থিতি সরেজমিন পরিদর্শনে সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন পরিদর্শনে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী কেন্দ্রে উপস্থিত মিডিয়ার সাথে ব্রিফিং করেন। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় বলেন, ‌‌‘পরীক্ষা কেন্দ্রের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র মানসম্পন্ন হয়েছে বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন। পরীক্ষা নিয়ে কোনও কোনও মহল প্রপাগান্ডা ছড়াতে তৎপর থাকতে পারে। এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হবে। প্রশ্নফাঁস নিয়েও নানা মহল গুজব ছড়াতে চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যথেষ্ট সচেতন রয়েছে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র শুরু থেকে কেন্দ্রে পরীক্ষা শেষ হওয়া ও রেজাল্ট দেওয়া পর্যন্ত সবধরনের সতর্কতা আমরা নিয়েছি।

এসময় উদাহরণ টেনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রশ্নপত্র বহনকারী গাড়িটিও আমরা ডিজিটাল মনিটরিং-এর আওতায় রেখেছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু লোক ভুয়া প্রশ্নপত্র তৈরি করে প্রশ্নফাঁস সংক্রান্ত ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তার আগেই আমরা সেরকম দুজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। তারা এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তত্ত্বাবধানে রয়েছে। সম্মানিত অভিভাবকদের শুধু এটুকু বলতে চাই, তারা যেন বাইরের কোনও উসকানিতে কান না দেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অত্যন্ত নিয়মতান্ত্রিক ও কঠোরতার মাধ্যমে এই পরীক্ষায় শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে ফলাফল প্রকাশ করবে।’

পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব সাইফুল ইসলাম বাদল, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর এবিএম খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. এনায়েত হোসেনসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন।