শিক্ষক আন্দোলন

ইতিবাচক সাড়া পেতে আরও একদিনের অপেক্ষা

দাবি-দাওয়া সম্পর্কে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার অপেক্ষায় পর্যালোচনা সভার সময় পরিবর্তন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেতারা।৩ ফেব্রুয়ারির বদলে তারা ৪ ফেব্রুয়ারি এ সভা করবেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বেতন স্কেল ও গ্রেড-সমস্যা নিরসনের দাবি মেনে নেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্বাসের পর শিক্ষকরা আন্দোলন স্থগিত করেছিলেন ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এদিন বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা সভায় বসার কথা ছিল। কিন্তু বৈঠকের তারিখ একদিন পিছিয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের সদস্যরা।
শিক্ষক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল জানিয়েছেন, ৩ ফেব্রুয়ারির নির্ধারিত পর্যালোচনা সভা পিছিয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। এ সভার মধ্য দিয়ে দাবির বিষয়ে অগ্রগতি সম্পর্কে পর্যালোচনা করা হবে।
ফেডারেশনের একটি সূত্র জানায়, গত ২৮ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন সচিবের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ফেডারেশনের বৈঠকটি ছিল অনেকটাই ইতিবাচক। এরপরে চূড়ান্ত কোনও সমাধানে পৌঁছতে ধাপে ধাপে বৈঠক হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গে।
সূত্রটি আরও জানায়, সোমবার ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গে কার্যকরী একটি বৈঠক হয়েছে। এ বৈঠকে অনেকটাই সমাধানের পথ তৈরি হয়েছে। তবে এখনও উভয় পক্ষের মধ্যে দাবি-দাওয়ার বিষয়ে দর কষাকষি চলছে।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় ইউজিসি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল তিন সচিবের। সে বৈঠকের আলোচনা সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন মঙ্গলবার দুপুরে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা আশাবাদী। আশা করছি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।’
হঠাৎ পর্যালোচনা সভার সময় পরিবর্তনের কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সভায় শিক্ষকরা আসবেন। তাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। তাছাড়া যেহেতু আগামীকাল পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত রয়েছে, ফলে এদিনও আমাদের পর্যবেক্ষণে থাকবে। এদিনও হয়তো কোনও ইতিবাচক সাড়া আসতে পারে।’
উল্লেখ্য, অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলে বৈষম্য ও গ্রেড-সমস্যা নিরসনের দাবিতে বাংলাদেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গত ১১ জানুয়ারি থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন করে আসছিলেন। পরে গত ১৮ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস পাওয়ার পর ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তারা এ আন্দোলন স্থগিত রাখেন।
/আরএআর/এসএম/এজে/আপ-এআর/