সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর এপিএস মন্মথ বাড়ৈ চাকরিচ্যুত

‘অসদাচরণ ও পলায়নের’ কারণে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের তৎকালীন সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ও বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

বিভাগীয় মামলার পর দীর্ঘদিন ধরে যাচাই-বাছাইসহ যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করে সোমবার (১৩ জুন) মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈকে চাকরিচ্যুত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। 

২০০৯ সালে নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর দীর্ঘদিন তার এপিএসের দায়িত্ব পালন করেন সংস্কৃত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈ। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ ওঠার পর সেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় বিভাগীয় মামলা। 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংস্কৃত বিষয়ের সহযোগী অধ্যাপক মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈ ২০২০ সালের ১২ এপ্রিল থেকে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় সরকারি কর্মচারী (শৃংঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী 'অসদাচরণ ও পলায়ন' এর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়। অভিযুক্ত কর্মকর্তা কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব না দেওয়ায় বিধি অনুযায়ী বিষয়টি তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তদন্তে তার বিরুদ্ধে আনা 'অসদাচরণ ও পলায়ন' এর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দ্বিতীয় কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। তার স্থায়ী ও কর্মস্থলের ঠিকানায় তাকে না পেয়ে খামের গায়ে লাল কালি দিয়ে ‘প্রাপক দেশে নাই’ উল্লেখ করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগকে লিখিতভাবে জানায় ডাক বিভাগ।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈ-এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী গুরুদণ্ড আরোপপূর্বক ‘চাকরি হতে বরখাস্তকরণ’ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং ওই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন একমত পোষণ করেছে। মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে রাষ্ট্রপতি সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। সে কারণে তাকে বিধি মোতাবেক চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হলো।