অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেলেন ভিকারুননিসার সাবেক অধ্যক্ষ ফওজিয়া

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগ পরীক্ষায় খাতা টেম্পারিংয়ের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেলেন সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফওজিয়া রেজওয়ান। বিসিএস ক্যাডারের এই কর্মকর্তাকে বিভাগীয় মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করে। 

অফিস আদেশে বলা হয়, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রশাসিনিক কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের সময় তৎকালীন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা রজু করা হয়। অধ্যক্ষকে অভিযোগনামা ও অভিযোগবিবরণী পাঠিয়ে কারণ দর্শানো হয়। তিনি কারণ দর্শানোর জবাব দিয়েছেন।  ২০২১ সালের ২৭ জুন তার ব্যক্তিগত শুনানি নেওয়া হয়। জবাব ও শুনানিতে দেওয়া বক্তব্য সন্তোষজনক না হওয়ায় অভিযোগ তদন্তের জন্য তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তদন্ত কর্মকর্তার মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অধ্যাপক-দর্শন) ফওজিয়ার বিরুদ্ধে আনা বিভাগীয় মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।   

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে অবৈধভাবে উপাধ্যক্ষ নিয়োগের চেষ্টার পর অবৈধভাবে প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগের উদ্যোগ নেয় কলেজ গভর্নিং বডি। সমালোচনার মুখে উপাধ্যক্ষ নিয়োগ থেকে সরে আসলেও প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা হয়। সরকারি কর্মকর্তা গভর্নিং বডির সভাপতি থাকার পরও অবৈধ নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়। 

উল্লেখ্য, নীতিমালা অনুযায়ী উচ্চমাধ্যমিক কলেজে উপাধ্যক্ষ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগের কোনও বিধান নেই। 

এই নিয়োগ পরীক্ষায় দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষক ফাতেমা জোহরা হক অধ্যক্ষের নির্দেশে খাতা টেম্পারিং করে এক প্রার্থীর নম্বর বাড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগে ফাতেমা জোহরা হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এখনও সাময়িক বরখাস্ত রয়েছেন এই শিক্ষক।

অপরদিকে গভর্নিং বডির ভর্তি বাণিজ্যের কারণে আগেও ভিকারুননিসা ন্যূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসিনা বেগমের বেতন বন্ধ করা হয়েছিল। যদিও আদালতে সেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি এবং আদালতের নির্দেশে বেতন অব্যাহত রয়েছে। তবে এই অভিযোগের পর একই ক্লাসে পরবর্তী অধ্যক্ষকে দিয়ে গভর্নিং বডি অতিরিক্ত আরও শিক্ষার্থী ভর্তি করায়। কিন্তু সেই ভর্তির ব্যাপারে কারও বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।