এমপিও’র অযোগ্য ৮ হাজার ১৭৫টি  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আওতায় ২ হাজার ৫১টি ও কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের ৬৬৫টি মিলিয়ে মোট ২ হাজার ৭১৬টি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।  আর আবেদন করেও এমপিও অযোগ্য প্রতিষ্ঠান বিবেচিত হয়েছে ৮ হাজার ১৭৫টি। তবে যেসব উপজেলার কোনও প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হতে পারেনি সেসব উপজেলায় শর্ত পূরণ করতে না পারা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া প্রতিষ্ঠানের একটি করে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। 

বুধবার (৬ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আওতায় ২ হাজার ৫১টি ও কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের ৬৬৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছ। মোট এমপিওভুক্ত হয়েছে ২ হাজার ৭১৬টি প্রতিষ্ঠান।  আবেদন করেও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আওতাধীন ২ হাজার ৬৭১টি প্রতিষ্ঠান,  কারিগরি প্রতিষ্ঠান ২ হাজার ২৪৯টি এবং মাদ্রাসা ৩ হাজার ২৫৫টি প্রতিষ্ঠান শর্ত পূরণ করতে পারেনি। তবে যেসব উপজেলায় শর্ত পূরণ করতে না পারা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া প্রতিষ্ঠানের একটি করে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারাদেশে বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান, শিক্ষার্থীদের সংখ্যা, পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং পাশের হার ইত্যাদি বিবেচনা করে সরকার সময়ে সময়ে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি সরকারিভাবে দিয়ে থাকে।

আজকের আদেশের আগ পর্যন্ত সারাদেশে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৬ হাজার ৪৪৮টি।  সর্বশেষ ২০১৯ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতাভুক্ত এক হাজার ৬৫১টি এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আওতাভুক্ত ৯৮৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল।

এবছর নতুন বেসরকারি (স্কুল ও কলেজ) এমপিওভুক্তকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর ২০২১ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন নেওয়া হয়।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, যোগ্যতা থাকার পরও কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও’র প্রাথমিক তালিকা থেকে বাদ পড়েছে মনে করলে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কমিটির সভাপতির যৌথ স্বাক্ষরে ১৫ দিনের মধ্যে সচিব বরাবর আপিল আবেদন করতে পারবেন।  কোনও মিথ্যা তথ্য ও প্রমাণ দাখিল করে এমপিওভুক্ত হলে পরবর্তীতে তা প্রমাণ হলে দায়ী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।  

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের দায়িত্বে থাকা মহাপরিচালক অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী।