কোচিং ও প্রাইভেট টিউশন মনিটর করবে কে?

প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনের বিধান অনুযায়ী শিক্ষকরা নিজ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোচিং বা প্রাইভেট টিউশন  করাতে পারবেন না। তবে আইনের এই বিধান মানা হচ্ছে কিনা তা মনিটর করার কোনও বিধান রাখা হয়নি। এই বিষয়টি উত্থাপন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী প্রশ্ন তুলেছেন, শিক্ষক তার নিজের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কোচিং বা প্রাইভেট টিউশন করাচ্ছেন কিনা তা মনিটর করবে কে?

রবিবার (৩১ জুলাই) পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী সংশ্লিষ্টদের কাছে এই প্রশ্ন রাখেন।

রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, কোচিং সেন্টার বা শিক্ষকদের কে মনিটরিং করবে? এটা কোচিং সেন্টারে উৎসাহিত করে। এটার নানা ভাবে অপব্যবহার হবে। এজন্যই স্থায়ী শিক্ষা কমিশন দরকার।

পিকেএসএফ এবং এডুকেশন ওয়াচের চেয়ারপার্সন কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর বিষয়ে নজর দেওয়া হোক। কোভিড পরবর্তীকালে কী করণীয় তা আইনে রাখা দরকার। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতের বিষয়টি নীতিতে আছে। আইনের মধ্যে রাখার দাবি জানাচ্ছি। স্থায়ী শিক্ষা কমিশন রাখা উচিত। আইন হতে থাকুক, কমিশন দ্রুত করা হোক।

কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ আরও বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষানীতি একটাই। এর আগে আটটি কমিটি হয়েছে। কিন্তু নীতি একটাই। আমরা আসলে সবার সহযোগিতা চাই। অংশগ্রহণমূলক উন্নয়ন ঘটাতে চাইলে সহযোগিতার বিকল্প নেই।

সম্প্রতি শিক্ষা আইনের চূড়ান্ত খসড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সচিব কমিটিতে যাচাই-বাছাইয়ের পর মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলা হবে অনুমোদনের জন্য।