শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে রুমির বাণী হৃদয়ে ধারণের আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর

ক্ষুধা-দারিদ্র্য-শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ফারসি ভাষার কবি জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমির বাণী হৃদয়ে ধারণ করার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন হলে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক রুমি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ এবং আল্লামা রুমি সোসাইটি বাংলাদেশ যৌথভাবে এর আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কবি জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমি ছিলেন মানবতাবাদী দার্শনিক। তিনি সব সৃষ্টিকর্মে প্রেম, আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ, মানবসেবা এবং আলোকিত সমাজ বিনির্মাণের বার্তা দিয়েছেন।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কবি জালাল উদ্দিন রুমি এবং বাংলার রুমি সৈয়দ আহমদুল হকের ওপর অধিকতর মৌলিক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘জালাল উদ্দিন রুমি ছিলেন প্রেম, সম্প্রীতি ও প্রজ্ঞার কবি। তিনি সাহিত্য-কর্মের মাধ্যমে মানবতাবাদী দর্শন প্রচার করেছেন। এই আধ্যাত্মিক কবি, ইসলামী ব্যক্তিত্ব এবং সুফি সাধক তার লেখার মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক, মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে যে অনন্য অবদান রেখেছেন তা বিশ্ববাসীর কাছে আজও সমাদৃত।’

ঢাবির শতবর্ষ পূর্তি এবং ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে এই সম্মেলন আয়োজন করার জন্য ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ এবং আল্লামা রুমি সোসাইটিকে ধন্যবাদ জানান উপাচার্য।

অনুষ্ঠানে আল্লামা রুমি সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ রেজাউল করিম ঢাবি ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে একটি ট্রাস্ট ফান্ড প্রতিষ্ঠার জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের কাছে ১০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন– আল্লামা রুমি সোসাইটি বাংলাদেশের উপদেষ্টা সৈয়দ মাহমুদুল হক, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুতোশ অধ্যাপক ড. অমিত দে এবং সম্মেলন আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান।

অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন ঢাবি ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান ও সম্মেলন আয়োজন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন।