এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে ২০ লাখ ২১ হাজার শিক্ষার্থী

সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশে সারাদেশে একযোগে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরীক্ষা শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা থেকে। সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচিতে দুই ঘণ্টা পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৩ হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে। এবার মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন।

বৃহস্পতিবার প্রথম দিন এসএসসির বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর দাখিলের কোরআন মাজিদ ও তাজভিদ পরীক্ষা এবং এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষার্থীদের বাংলা-২ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

পরীক্ষা শুরুর পর আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সারাদেশে একযোগে সকাল ১১টায় শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনও সুযোগ নেই। যদি কেউ প্রশ্ন ফাঁসের গুজব সৃষ্টি হবে তাহলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, বন্যার কারণে স্থগিত হওয়া এসএসসি এবং এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিলের (ভোকেশনাল) তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলবে আগামী ১ অক্টোবর পর্যন্ত। আর ৩ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে দাখিলের তত্ত্বীয় পরীক্ষা। এসএসসি এবং দাখিলের ব্যবহারিক পরীক্ষা চলবে ১০ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত। ২ থেকে ১০ অক্টোবরের মধ্যে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালের ব্যবহারিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।

পরীক্ষার নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এবার সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচিতে ৩ ঘণ্টার পরিবর্তে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২ ঘণ্টা। এর মধ্যে নৈর্ব্যক্তিক বা এমসিকিউ ২০ মিনিট, লিখিত ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। সকাল সাড়ে ১০টায় কেন্দ্রে ঢুকতে হবে পরীক্ষার্থীদের। আগের প্রচলিত নিয়মে ১০টার পরিবর্তে পরীক্ষা শুরু হয়েছে বেলা ১১টায়। অতিরিক্ত সময় পাবেন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা।

মন্ত্রণালয় জানায়, চলতি বছর ২৯ হাজার ৫৯১টি স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন। পরীক্ষার্থীরা ৩ হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে ২ লাখ ২১ হাজার ৩৮৬ জন। এদিকে প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৫৫৬টি। আর কেন্দ্র বেড়েছে ১১১টি।

এর মধ্যে ৯টি সাধারণ বোর্ডের অধীনে এসএসসির মোট পরীক্ষার্থী ১৫ লাখ ৯৯ হাজার শিক্ষার্থী। আর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষার্থী ২ লাখ ৬৮ হাজার জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৫৩ হাজারের বেশি। এবার পরীক্ষায় কত শিক্ষার্থী অংশ নেবে না তা বিকালে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হবে। 

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। সেই হিসাবে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসেই এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।

রেওয়াজ অনুযায়ী এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে নির্ধারিত সময়ে এ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়া গত ১৯ জুন থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বন্যার কারণে ১৭ জুন পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।