২৬ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪২২ জনবল অনুমোদন, ছাড়পত্র পেলো ১৭৪

দেশের ২৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪২২  জনবল অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। তবে এর মধ্যে ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭৪ জনকে নিয়োগের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

বাকি ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ২৪৮ জনবল। তবে শিক্ষক নিয়োগ নির্দেশিকা অনুমোদন না পাওয়ায় তাদেরকে নিয়োগের ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি।

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ইউজিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউজিসি বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দেশের ৫৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত জনবলের চাহিদার বিষয়ে কমিশনের জনবল বরাদ্দ কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনবল চাহিদা এবং ইউজিসি’র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সুপারিশ করা জনবলের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন কমিটির সদস্য-সচিব ও কমিশনের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. গোলাম দস্তগীর।

সভায় আরও জানানো হয়, ২৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত চাহিদা প্রথমবারের মতো টিচিং লোড ক্যালকুলেশন নীতিমালার আলোকে পর্যালোচনা করে ইউজিসি’র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগ ৪২২টি জনবল অনুমোদনের সুপারিশ করে। সভায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের সুপারিশ যাচাই-বাছাই করে জনবল বরাদ্দ কমিটি ৪২২টি জনবল চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।

জনবল বরাদ্দ বিষয়ে অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম বলেন, ‘প্রথমবারের মতো ইউজিসি জনবল বরাদ্দে নির্ধারিত চারটি ছকের (শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও আউটসোর্সিং) মাধ্যমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় জনবলের সংখ্যা নির্ধারণ করেছে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগে ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ নির্দেশিকা সিনেট বা রিজেন্ট বোর্ডে পাস করা হয়েছে, শুধুমাত্র তাদেরকে জনবল নিয়োগের ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগে ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ নির্দেশিকা অনুমোদন করেছে ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭৪টি জনবল নিয়োগের ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাকি ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট বা রিজেন্ট বোর্ডে শিক্ষক নিয়োগে ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ নির্দেশিকা অনুমোদিত হলে জনবল নিয়োগের ছাড়পত্র দেওয়া হবে। সভায় এসব বিশ্ববিদ্যায়ের জন্য মোট ২৪৮টি জনবল অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তবে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি।’

অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম উল্লেখ করেন, এবার ইউজিসি টিচিং লোড ক্যালকুলেশন নীতিমালার আলোকে জনবলের চাহিদা নিরূপণ করেছে। তবে ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ নীতিমালার আলোকে নিজেরাই জনবলের চাহিদা নিরূপণ করে ইউজিসিতে পাঠাবেন।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাড় করা জনবলের ৮০ শতাংশ নিয়োগ করার পর টিচিং লোড ক্যালকুলেশন নীতিমালার ভিত্তিতে জনবলপ্রাপ্ত হলে পুনরায় জনবলের চাহিদা ইউজিসিতে পাঠাতে পারবে।

ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগমের সভাপতিত্বে সভায় ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান, অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহ আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।