অনুমোদন ছাড়া বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নয়

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলেও সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদন ছাড়া প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুপস্থিতিতে সহকারী প্রধান শিক্ষক আর না থাকলে জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে দায়িত্ব দিতে হবে।

কলেজ পর্যায়ে অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে দায়িত্ব দিতে হবে। যদি সরকার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়, তাহলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া যাবে। তবে তাকে সরকার কোনও বেতন-ভাতা দেবে না। শুধু তা-ই নয়, ৬৫ বছরের বেশি বয়স হলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া যাবে না।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ এই নির্দেশনা জারি করেছেন। দেশের সব বেসরকারি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি এবং কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতিকে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) জারি করা এই নির্দেশনায় বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১-এর ১১.১১ ধারা অনুযায়ী ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরিতে প্রথম প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর। তবে সমপদে বা উচ্চতর পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ইনডেক্সধারীদের জন্য বয়সসীমা শিথিলযোগ্য। এ ক্ষেত্রে উচ্চতর পদ বলতে শুধু প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারী প্রধান বোঝাবে। শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশ ৬০ (ষাট) বছর পর্যন্ত দেওয়া হবে। তবে ঐতহ্যবাহী ও মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে এবং সরকারের কোনও আর্থিক সুবিধা বা এমপিও না নেওয়ার শর্তে সরকারের অনুমোদনে শুধু প্রতিষ্ঠান প্রধানের ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া যাবে।

এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে আর্থিকসহ সব দায়ভার বহন করতে হবে। সরকার এর কোনও দায় বহন করবে না। এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের চুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান প্রধানের মেয়াদ সরকারের আর্থিক সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও কোনোক্রমেই ৬৫ বছরের বেশি হতে পারবে না।

নির্দেশনায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করে জানানো হয়, ইদানীং লক্ষ করা যাচ্ছে, জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১-এর ১১.১১ ধারা না মেনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষকদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে এবং তা অনুমোদনের জন্য মাউশিতে পাঠানো হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ওই শিক্ষক বিধি অনুযায়ী ৬০ বছর পূর্তিতে অবসরে গেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০১১ সালের ৬ জুনের আদেশ এবং ২০১২ সালের ৯ জুলাইয়ের আদেশ অনুযায়ী অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে সহকারী প্রধান শিক্ষককে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার অর্পণ করতে হবে। কোনও প্রতিষ্ঠানে সহকারী প্রধান শিক্ষক না থাকলে জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার অর্পণ করতে হবে।

তবে পরবর্তীতে অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিষয়টি সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদন সাপেক্ষে ওই পদের দায়িত্বভার পাবেন বলে জানানো হয়।