পরীক্ষা ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন চান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

উচ্চশিক্ষায় শুদ্ধতা আনতে শিক্ষক প্রশিক্ষণ, গবেষণা এবং পরীক্ষা ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মশিউর রহমান। বুধবার (৯ নভেম্বর) ‘মডেল কলেজ প্রকল্প ও পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।  তিনি বলেন, তরুণ শিক্ষকদের উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণায় যত টাকা লাগবে দেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। তবে গবেষণায় চাই মানসম্পন্ন প্রস্তাবনা।

বুধবার কুষ্টিয়ার দৌলতপুর কলেজের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় উপাচার্য বলেন, পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা আমাদের শুদ্ধতা শেখাবে। সমাজের মধ্যে উন্নত মানস গঠনে ভূমিকা রাখবে। উচ্চশিক্ষা আলো ছড়াবে। শুধু চাকরি দেওয়ার জন্য উচ্চশিক্ষা, এটি ভুল ধারণা। উচ্চশিক্ষা সমাজের দর্শন তৈরি করে।

ড. মশিউর রহমান বলেন, শিক্ষকদের হাত ধরেই শিক্ষার্থীরা নেতৃত্বে আসবে। তাদের হাতে নোট-গাইডের বিকল্প দিতে হবে। বিজ্ঞানমুখী, সৃজনশীল, প্রযুক্তিমুখী বিষয়ে তাদেরকে আগ্রহী করে তুলতে হবে। এটি যে খুব কঠিন তা নয়, শুধু প্রয়োজন সমন্বিতভাবে কাজ করা। প্রশিক্ষণ, গবেষণা, পরীক্ষা ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনা জরুরি। আমাদের যেসকল তরুণ শিক্ষক উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে যাবেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তাদের পাশে দাঁড়াবে। গবেষণায় যতো টাকা লাগবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সেই টাকা দেবে। কিন্তু আমি চাই মানসম্পন্ন গবেষণা প্রস্তাবনা। যতো ভালো পাবলিকেশন্স লাগবে সেটিও আমরা ব্যবস্থা করবো।

তিনি আরও  জানান, খুব শিগগিরই আইসিটি, সফট স্কিল, ল্যাঙ্গুয়েজসহ বিভিন্ন কর্মমুখী এমবেডেড কোর্স চালু হচ্ছে। যেখানে ডিগ্রি, অনার্স, মাস্টার্স পর্যায়ের সকল শিক্ষার্থী এসব কোর্স করতে পারবে। এই সব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মানসম্পন্ন শিক্ষায় রূপান্তর করতে হলে এর প্রধান কারিগর শিক্ষক। কিন্তু সেই মাত্রার শিক্ষক যদি তৈরি না হয়, তাহলে এসব বাস্তবায়ন কঠিন। যদিও একদিনে শিক্ষক তৈরি হবে না। এটি প্রক্রিয়ার বিষয়। আমাদের প্রশাসনিক কাঠামোতেও শিক্ষকদের না পাওয়ার বিষয় আছে। প্রশাসনিক বিভিন্ন ক্যাডার সার্ভিসে চাকরির শুরুতেই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু শিক্ষকতায় নেই। তারপরও পরিবর্তনের দায়-দায়িত্ব এবং নেতৃত্ব শিক্ষকদের নিতে হবে।