ঢাবিতে প্রথমবারের মতো সাউথ এশিয়ান অ্যাকাডেমিক লিডারশিপ ডায়ালগ অনুষ্ঠিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দিনব্যাপী সাউথ এশিয়ান অ্যাকাডেমিক লিডারশিপ ডায়ালগ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৩ নভেম্বর) ও সোমবার (১৪ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।  

সাউথ এশিয়ান ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউশন ইন সাউথ এশিয়ার (এএমডিআইএসএ) সাধারণ অধিবেশনের মধ্যে বিরতিতে অনুষ্ঠিত সংলাপে প্রথম দিনের আলোচ্য বিষয় ছিল ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে ব্যবসায় কারিকুলামের পুনর্মূল্যায়ন, টেকসই উন্নয়নের নীতিমালা এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থানান্তর’ (রি থিংকিং বিজনেস কারিকুলাম ইন দ্য কনটেক্সট অব ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যলুশন, সাসটেইনঅ্যাবল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড গ্লোবাল ইকোনোমিক শিফট)।

দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান দেশগুলোর শিক্ষাবিদ ছাড়াও অনুষ্ঠানে এমঅ্যান্ডএস, এডিসন গ্রুপ, বিডিজবস, বার্জার ইউনিলিভারসহ ৩০টি প্রতিষ্ঠানের শিল্প বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন। 

দ্বিতীয় দিনের সংলাপের আলোচ্যসূচি ছিল ‘দক্ষিণ এশিয়ায় ব্যবসায় শিক্ষায় প্রতিষ্ঠানিক সহযোগিতা ও নেতৃত্ব তৈরির ক্ষেত্রে এজেন্ডা তৈরি’ (ম্যাপিং সাউথ এশিয়ান এজেন্ডা ফর অ্যাকাডেমিক কোলাবোরেশন অ্যান্ড লিডারশিপ ইন বিজনেস এডুকেশন)।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাউথ এশিয়ান অ্যাকাডেমিক লিডারশিপ ডায়ালগ

সংলাপে বক্তারা বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা প্রয়োজন। উদাহরণ হিসেবে প্রোগ্রাম বিনিময়ের কথা বলা হয় যেখানে এক প্রতিষ্ঠানের  শিক্ষকরা অন্য প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করবেন এবং ক্লাস নেবেন। একইভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করার কথা বলা হয়। গবেষণা সংস্কৃতির অভাবই অধিক কার্মক্ষম এবং অর্থপূর্ণ গবেষণা না থাকার প্রধান কারণ। শুধু একক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর না করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে কেস স্টাডি এবং আন্তঃদেশীয় গবেষণা পরিচালনায় গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়। 

সংলাপের প্রথম দিন প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল। দ্বিতীয় দিন প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। সাউথ এশিয়ান অ্যাকাডেমিক লিডারশিপ ডায়ালগের সভাপতি অধ্যাপক শেখ মোরশেদ জাহানের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন।