কারিগরিতে ছাত্রী কমেছে, পাসের হার ৯১.৮০ শতাংশ

কারিগরি শিক্ষা প্রসারে সরকার উদ্যোগী হলেও নারী শিক্ষার্থী কম। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় মোট অংশ নেয় ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৪৮ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ১০ হাজার ২২৮ জন এবং ছাত্রী মাত্র ৩৫ হাজার ১২০ জন। তবে পরীক্ষায় ভালো করেছে ছাত্রীরা।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) ২০২২ সালের সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়।

দুপুরে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত ফলাফল তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় মোট অংশ নেয় ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৪৮ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ১০ হাজার ২২৮ জন এবং ছাত্রী ৩৫ হাজার ১২০ জন। অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মোট উত্তীর্ণ ১ লাখ ৩০ হাজার ১৬৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৯৭ হাজার ৯২৪ জন এবং ছাত্রী ৩২ হাজার ২৪১ জন। পাসের হার ৮৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এর মধ্যে ছাত্র ৮৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং ছাত্রী ৯১ দশমিক ৮০ শতাংশ।

এছাড়া ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় মোট অংশ নিয়েছে ১৫ লাখ ৮৮ হাজার ৬৫৭ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৬২ হাজার ৭৫ জন এবং ছাত্রী ৮ লাখ ২৬ হাজার ৫৮২ জন। এসএসসিতে মোট অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৫৭১ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৭৪৫ জন এবং ৭ লাখ ৩০ হাজার ৭৩ হাজার ৫৭৩ জন। পাসের হার ৮৮ দশমিক ১০ শতাংশ। ছাত্র ৮৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং ছাত্রী ৮৮ দশমিক ৪২ শতাংশ। মোট জিপিএ-৫ ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭৬৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ২ হাজার ৪৫৯ জন এবং ছাত্রী ১ লাখ ৩৩ হাজার ৭৬৩ জন। মোট কেন্দ্র ২ হাজার ২৪৬টি। মোট প্রতিষ্ঠান ১৭ হাজার ৭২৪টি।

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় মোট অংশ নিয়েছে ২ লাখ ৬০ হাজার ১৩২ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ২৫ হাজার ৮৯০ জন এবং ছাত্রী ১ লাখ ৩৪ হাজার ২৪২ জন। অংশ নেওয়া মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ ২ লাখ ১৩ হাজার ৮৮৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ১০ হাজার ৫০৬ জন এবং ছাত্রী ১ লাখ ৩ হাজার ৩৭৭ জন।

জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ১৫ হাজার ৪৫৭ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭ হাজার ১৮৪ জন এবং ছাত্রী ৮ হাজার ২৭৩ জন। পাসের হার ৮২ দশমিক ২২ শতাংশ। এর মধ্যে ছাত্র ৮২ দশমিক ১২ শতাংশ এবং ছাত্রী ৮৩ দশমিক ৩২ শতাংশ।