প্রতারণা ঠেকাতে মাউশির গণবিজ্ঞপ্তি

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদফতরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নাম ভঙিয়ে পদোন্নতি, নিয়োগ, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলিসহ বিভিন্ন কাজ করিয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে টাকা দাবি করছে প্রতারকরা। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিফতর গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। বৃহস্প্রতিবার (১ নভেম্বর) অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তি শনিবার (৩ নভেম্বর) প্রকাশ করা হয়। 

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে বিভিন্ন প্রতারক চক্র সরাসরি বা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর এবং এর অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে পদোন্নতি, নিয়োগ, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলিসহ বিভিন্ন কাজ করিয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ফোন করে, ই-মেইল, এসএমএস বা চিঠি পাঠিয়ে টাকা দাবি করছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে তাদের পক্ষ থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে ব্যক্তিগতভাবে ও মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর কোনও কাজে কোনও প্রকার আর্থিক লেনদেনের কোনও প্রয়োজন নেই। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরর থেকে যেসব সেবা দেওয়া হয়ে থাকে, তার জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে এবং তার ভিত্তিতেই সেবা দেওয়া হয়ে থাকে। এ সংক্রান্ত সব তথ্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইটে (www.dshe.gov.bd) নিয়মিতভাবে প্রকাশ করা হয়ে থাকে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ ধরনের প্রতারক চক্র বা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের অধীন কোনও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে ই-মেইল, এসএমএস ফোন, চিঠিপত্র কিংবা তাদের ব্যক্তিগত যোগাযোগের ভিত্তিতে কাউকে কোনও ধরনের প্রলোভনের ফাঁদে না জড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হলো। কেউ কোনও ধরনের সুবিধা বা টাকা চাইলেই বুঝবেন যে এটা প্রতারণা। সঙ্গে সঙ্গেই এ ধরনের প্রতারকের ফোন নম্বর কাছের থানায় দিতে এবং প্রতারকদের পুলিশে সোপর্দ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

এদিকে, শিক্ষা ক্যাডারের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অধিদফতর এবং আঞ্চলিক অফিসে ঠিকঠাক মতো কাজ হলে এবং শিক্ষকসহ সেবাপ্রার্থীরা হয়রানির শিকার না হলে প্রতারকরা প্রতারণা করার সুযোগ পেতো না। কাজ পেতে দেরি হলে মানুষ বিভিন্ন উপায়ে কাজ করিয়ে নিতে চায়। এমনটি না হলে গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়ারও প্রয়োজন হতো না। মানুষ উপায় না পেয়ে প্রতারকদের ফাঁদে পড়েন।