পাঠ্যবইয়ে আনারসের ছবির নিচে নারিকেল লেখাটি এডিট করা

২০২৩ সালের নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের একটি কনটেন্ট এডিট করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে গুজব সৃষ্টি করা হয়েছে। এই ধরনের গুজবে গুরুত্ব না দিয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

সম্প্রতি নবম-দশম শ্রেণির কৃষিশিক্ষা বইয়ের ‘আনারস চাষ’ পাঠ্যের আনারসের ছবির নিচে ‘নারিকেল গাছের চারা’ লিখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। এর আগেও ধর্ম বিষয় শিক্ষাক্রম থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরের আগে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মশিউজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সোশাল মিডিয়ায় তৈরি গুজবে গুরুত্ব না দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বই সংগ্রহ করে দেখে নেওয়া উচিত। নবম-দশম শ্রেণির কৃষি শিক্ষা বইয়ের ১৩৬ নম্বর পৃষ্ঠা দেখে নিতে পারেন যে কেউ, সেখানে আনারসই আছে।’

অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, ‘ভুল থাকলে যে কেউ আমাদের জানাতে পারেন। সংশোধনের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু কেউ গুজব তৈরি করবে সেটা অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। সবাইকে এ ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে।’

কৃষিশিক্ষা বইয়ে যা আছে

নবম-দশম শ্রেণির কৃষিশিক্ষা বইয়ের ১৩৬ নম্বর পৃষ্ঠায় আনারস চাষ পাঠ্যে আনারসের চারার ছবি দেওয়া হয়েছে। ছবির নিচে লেখা রয়েছে ‘চিত্র: আনারসের বিভিন্ন ধরনের চারা’। অথচ আনারসের চারার ছবি দিয়ে তার নিচে ‘চিত্র: নারিকেলের বিভিন্ন প্রকার চারা’ লিখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে শিক্ষাক্রম থেকে ইসলাম ধর্ম বিষয় বাদ দেওয়া হয়েছে এমন গুজ ছড়িয়ে দেওয়া হয় ফেসবুকে। তা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘শিক্ষাক্রম থেকে ইসলাম ধর্ম বাদ দেওয়া হয়েছে এটি গুজব, ধর্ম বিষয় বাদ দেওয়া হয়নি। একটি চক্র রাজনৈতিক কারণে গুজব সৃষ্টি করে যাচ্ছেন।’