২০২৪ সালের প্রাথমিকের বইয়ের চাহিদা আহ্বান, অপচয় রোধের সতর্কতা

২০২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি, প্রাথমিক স্তর এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা চেয়েছে সরকার। বুধবার (২৫ জানুযারি) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করে। বিভাগীয় উপরিচালকদের কাছ থেকে এই তথ্য চাওয়া হয়।

এতে বলা হয়, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি, প্রাথমিক স্তর এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা সংক্রান্ত তথ্য নির্ধারিত ছকে নির্দেশনা অনুযায়ী পাঠাতে হবে। অফিস আদেশে জানানো হয়, পাঠ্যপুস্তকের অপচয় রোধে চাহিদা পাঠানোর ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০২২ শিক্ষাবর্ষের সম্ভাব্য চাহিদায় উল্লিখিত শিক্ষার্থীর সংখ্যার তুলনায় ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রকৃত শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৭ লাখ ৭৭ হাজার ২৮৬ কমে গেছে। এমতাবস্থায়, সরকারি অর্থের অপচয় রোধে পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা যথার্থ, গ্রহণযোগ্য হওয়া বাঞ্ছনীয়।

এসব নির্দেশনা প্রতিপালন করে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি, প্রাথমিক স্তর এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাঠানো নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

নির্দেশনা:

  • সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তার আওতাধীন সব উপজেলা/থানা থেকে পাওয়া পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করবেন।
  • সব উপজেলা/থানার তথ্য সমন্বিত করে জেলার সমন্বিত তথ্য সম্বলিত ছক আগামী ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিভাগীয় উপপরিচালক কার্যালয়ে পাঠাবেন।
  • বিভাগীয় উপপরিচালকরা তাদের আওতাধীন জেলার তথ্য যাচাই করে সব জেলার সমন্বিত তথ্য আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের বই বিতরণ শাখায় ই-মেইলে (dpebook111@gmail.com) পাঠানো নিশ্চিত করবেন।
  • পাঠানো তথ্যের গ্রহণযোগ্যতার জন্য ২০১১ ও ২০১২ সালের বার্ষিক প্রাথমিক বিদ্যালয় শুমারি (এপিএসসি) এবং ২০২৩ সালের তথ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
  • ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স’ (সিআরভিএস) এর প্রদত্ত তথ্যের সঙ্গে মিল থাকতে হবে।