কখনোই স্কুলে যায়নি ৪০ শতাংশ পথশিশু

পথশিশুদের প্রতি ১০ জনের মধ্যে চার জন (৪০ শতাংশ) কখনোই কোনও স্কুলে ভর্তি হয়নি। আর কোনও ক্লাসই পাস করেনি ১৪ দশমিক ২ শতাংশ পথশিশু। সোমবার (১০ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার আগারগাঁও পরিসংখ্যান ভবন মিলনায়তনে ‘পথশিশু জরিপ ২০২২’ এর প্রকাশিত ফলাফলে এ তথ্য উঠে আসে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এই জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, কোনও ক্লাস পাস করেনি ১৪ দশমিক ২ শতাংশ পথশিশু। প্রি-প্রাইমারি পর্যন্ত লেখাপাড়া করেছে ৪ দশমিক ৭ শতাংশ।  প্রথম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে ৪ দশমিক ২ শতাংশ, দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ, তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ১২ দশমিক ৭ শতাংশ, চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩ শতাংশ, পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৮ দশমিক ৮ শতাংশ, ষষ্ট শ্রেণি পর্যন্ত ৩ দশমিক ৩ শতাংশ, সপ্তম শ্রেণি ৩ দশমিক ২ শতাংশ, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ১ দশমিক ৭ শতাংশ, নবম শ্রেণি পর্যন্ত ১ দশমিক ২ শতাংশ এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা পর্যন্ত শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ পথশিশু লেখাপড়া করেছে।

আট বিভাগে ৭ হাজার ২০০ শিশুর ওপর এই জরিপ পরিচালিত হয়। জরিপের ফলাফলে আরও দেখা গেছে, প্রতি ১০ জনের মধ্যে চার জনের কখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এনরোলমেন্ট হয়নি।  স্কুলগামী পথশিশুদের অর্ধেকের বেশি ৫৬ দশমিক ৬ শতাংশ পঞ্চম শ্রেণি শেষ করতে পারেনি। পাঁচ জনের একজন পথশিশু পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণ হয়েছে। এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান শেষ করার হার অতি নগণ্য।

শুধু পড়তে পারে ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ, লিখতে ৩০ দশমিক ৮ শতাংশ, লিখতে এবং পড়তে পারে ২৮ দশমিক ৩ শতাংশ।

প্রতি ১০ জন পথশিশুর মধ্যে ৩ জন লিখতে ও পড়তে পারে। ছেলে বা মেয়ে পথশিশুর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোনও তফাত নেই লেখা ও পড়ার ক্ষেত্রে। ছেলে পথশিশু লিখতে ও পড়তে পারে ২৮ দশমিক ৩ শতাংশ এবং মেয়ে পথশিশু ২৭ দশমিক ৯ শতাংশ।