কল্যাণ ট্রাস্টের টাকায় হজে যাচ্ছেন ৪৫৫ জন শিক্ষক

কল্যাণ ট্রাস্টের টাকায় হজ করার সুযোগ পাচ্ছেন ৪৫৫ জন শিক্ষক। হজ গমনেচ্ছু অবসরপ্রাপ্ত ৪৫৫ জন শিক্ষকের কল্যাণ সুবিধার ৩৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা টাকা ছাড় করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এবার হজ ও তীর্থ গমনেচ্ছু ৪৫৫ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে বিশেষ ব্যবস্থায় বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের কল্যাণ সুবিধার ৩৯ কোটি ৩৭ লাখ ৩৬ হাজার ৯০১ টাকা দিয়েছে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট। হজ ও তীর্থের জন্য কল্যাণ ট্রাস্টে আবেদনকারী শিক্ষকদের অনলাইন ব্যবস্থায় আরটিজিএস-এর মাধ্যমে যার যার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের (স্বাশিপ) সাধারণ অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু বলেন, হজ ও তীর্থ একটি ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মানুষ শেষ জীবনে বিশেষ করে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ শেষ জীবনে হজে যাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেন। বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীরা তাদের সারা জীবনের সঞ্চিত কল্যাণ ও অবসর বোর্ডের টাকা দিয়ে শেষ জীবনে হজ করতে উদগ্রীব হয়ে উঠেন। এক বছর দেরি হলে অনেকেই পরের বার হজে যাওয়ার শারীরিক সক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেন। এসব দিক বিবেচনা করে কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ এসব শিক্ষকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা দেওয়া হয়ে থাকে।

অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু বলেন, কল্যাণ ট্রাস্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর বিগত ২০১০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত অন্তত আট হাজার শিক্ষককে বিশেষ বিবেচনায় হজের টাকা দেওয়া হয়েছে। কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ এই বিশেষ উদ্যোগ না নিলে অনেক শিক্ষকেরই হয়তো হজের স্বপ্ন পূরণ হতো না। এছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বের অর্থনৈতিক চরম সংকটে এবার বাংলাদেশেও হজের খরচ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা দেওয়া না হলে হয়তো অনেক শিক্ষকের পক্ষেই হজ আদায় করা সম্ভব হতো না।

তীর্থযাত্রায় কতজন এই সুযোগ পেয়েছেন, জানতে চাইলে অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু বলেন, দীর্ঘযাত্রী খুবই কম। তাছাড়া টাকাও বেশি লাগে না। মূল টাকা খরচ হয় হজের জন্য।