‘বাজেটে টাকার অঙ্ক বাড়ে, শিক্ষার্থীর জন্য বিনিয়োগ একই থাকে’

শিক্ষার সবচেয়ে বড় অংশীজন শিক্ষার্থীরা। অথচ বাজেটে টাকার অঙ্ক বাড়লেও শিক্ষার্থীর জন্য বিনিয়োগ বাড়ে না। আমরা ক্রমাগতভাবে বাজেট বাড়াতে বলেছি। কিন্তু সব সময় একই থাকে।

রবিবার (১৪ মে) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘শিক্ষা, জেন্ডার সমতা ও ন্যায্যতাভিত্তিক বাজেট: অংশীজনের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন সাবেক তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্ট ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধূরী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলানাও করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। আরও অংশ নেন সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত, এডুকেশন ওয়াচ ও পিকেএসএফের চেয়ারপারসন ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, মালালা ফাউনন্ডেশনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি মোশাররফ তানসেন, ব্রিটিশ হাইকমিশনের এডুকেশন উপদেষ্টা শানু কলিন্স, শিক্ষকনেতা অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ।

অনুষ্ঠানে কি-নোট পেপার উপস্থাপন করেন গণসাক্ষরতা অভিযানের উপপরিচালক কে এম এনামুল হক।

রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, আমরা ক্রমাগতভাবে বাজেট বাড়াতে বলেছি। কিন্তু সব সময় একই থাকে। টাকার পরিমাণ বাড়ে কিন্তু জাতীয় বাজেটে এর পরিমাণ বাড়ে না। শিক্ষার বাজেট ১২ শতাংশের কাছাকাছি। আর জাতীয় আয়ের ২ শতাংশের কাছাকাছি। আমরা চাই জাতীয় আয়ের কমপক্ষে ৪ থেকে শতাংশ বরাদ্দ করতে হবে। তা না হলে অনেক শিশু শিক্ষার বাইরে থেকে যাবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমাদের ইকোনমি এখন ভালো। আমরা ব্যয় করবো। কিন্তু যেখানে প্রয়োজন নেই, সেখানে ব্যয় করবো না।  আবহমানকাল থেকে একটি প্রচলন ছিল—‘সরকার কা মাল দরিয়ামে ঢাল’। স্নেহ নেই মমতা নেই। সরকারকে মনে করে বাইরের গভর্নমেন্ট, কলোনিয়াল গভমেন্ট।’

গণসাক্ষরতা অভিযানের উপপরিচালক কে এম এনামুল হক বলেন, ‘শিক্ষায় আমরা আন্তর্জাতিক র‍্যাংকিংয়ে পিছিয়ে যাচ্ছি। এ জন্য আমাদের কোথায় কোথায় কাজ করতে হবে, সেটা চিন্তা করতে হবে। আমাদের অর্থনীতি যেভাবে বাড়ছে, সে তুলনায় শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ছে না। এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। জাতীয় আয়ের ৪ থেকে ৬ শতাংশ বরাদ্দ এবং বাজেটে শিক্ষায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। কিন্তু আমরা বাস্তবে দুটি ক্ষেত্রেই নিচের দিকে আছি। বাজেটে অন্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব বাদ দিলে শিক্ষায় ১২ শতাংশের মতো এবং জাতীয় আয়ের ২ শতাংশের কাছাকাছি রয়েছি। এ জন্য শিক্ষায় বাজেট বাড়ানো দরকার।’