যৌথ পিএইচডি ডিগ্রি দিতে পারবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে পিএইচডি ডিগ্রি দিতে পারবে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) ইউজিসিতে মালয়েশিয়া গ্লোবাল সার্ভিসেস (এমজিএস)-এর চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় এ কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ।

এডুকেশন মালয়েশিয়া গ্লোবাল সার্ভিসেস-এর চেয়ারম্যান এবং মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিশেষ দূত ড. আব্দুর রাজ্জাক প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, ‘এই মুহূর্তে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে তারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো গবেষণা করতে আগ্রহী। স্থায়ী সনদ পাওয়া প্রথম সারির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শর্ত-সাপেক্ষে মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ পিএইচডি ডিগ্রি দিতে পারে। এর মাধ্যমে তাদের গবেষণার দ্বার উন্মোচিত হবে এবং গবেষণার সুযোগ তৈরি হবে।’ যৌথ পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়ার বিষয়ে মালয়েশিয়া সরকারর সঙ্গে একটি চুক্তি সই করার আগ্রহ প্রকাশ করেন অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ।

অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ প্রতিনিধি দলকে মালয়েশিয়ায় অধ্যায়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরির সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার আহ্বান জানান। মালয়েশিয়ায় অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও অন্যান্য নাগরিকদের যেন মর্যাদার দৃষ্টিতে দেখা হয়, সেদিকে খেয়াল রাখারও অনুরোধ করেন তিনি।

এডুকেশন মালয়েশিয়া গ্লোবাল সার্ভিসেস-এর চেয়ারম্যান এবং মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিশেষদূত ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘মালয়েশিয়া উচ্চশিক্ষাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণের চেষ্টা করছে।’

তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় বেশ কিছু মানসম্পন্ন সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস রয়েছে। তার দেশ উচ্চশিক্ষার মান বজায় রাখতে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা, ট্যালেন্ট হান্ট করাসহ যৌথ পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এছাড়া, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও স্টাফদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে। যৌথ  গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি ও গবেষণা সহযোগিতা বৃদ্ধি করছে।

সভায় ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান, গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।