উচ্চশিক্ষার উন্নয়নে রিজিওনাল সম্মেলন

দেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার (উচ্চশিক্ষা) উন্নয়নে ‘আঞ্চলিক সহযোগিতা বা উচ্চশিক্ষা উন্নয়ন’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী রিজিওনাল সম্মেলন শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) নেটওয়ার্ককে একত্রিত করা এবং এ অঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার উন্নয়নে সহযোগিতামূলক মনোভাব ও উচ্চশিক্ষা অগ্রগতির আরও সুযোগ নিয়ে আলোচনা করার জন্য এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে এই অঞ্চলে মানবসম্পদ উন্নয়ন ও ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) ইউজিসি জানায়, শ্রীলঙ্কার ইউজিসি এবং বিশ্বব্যাংক যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনটি কলম্বোর তাজ সমুদ্রে গত ৬ থেকে ৭ জুন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিশ্ব ব্যাংকসহ সাত দেশের ইউজিসি প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার শিক্ষাবিদ ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

এতে শ্রীলঙ্কার শিক্ষামন্ত্রী সুশীল প্রেমজয়ন্তা সমাপনী বক্তব্য দেন। বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিয়ো কান্ডার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শ্রীলঙ্কার ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক সম্পাথ অমরাতুঙ্গে ও বিশ্ব ব্যাংকের নিনা আর্নহোল্ডে বক্তব্য রাখেন।

সম্মেলনে তিন সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।

অধ্যাপক সুব্রত কে. আদিত্য এবং অধ্যাপক আব্দুল হাসনাত এম সোলায়মান সিম্পোজিয়ামে অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আলমগীর বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা নিয়ে ইউজিসি'র উদ্যোগ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন এবং প্যানেল ও উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।

সম্মেলনে বিশ্ব ব্যাংক এ অঞ্চলের উচ্চশিক্ষার উন্নয়নে একীভূতকরণের ওপর একটি বিস্তৃত প্রতিবেদন তুলে ধরেন। সেখানে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে উচ্চশিক্ষা পরিস্থিতি, উচ্চশিক্ষা বিনিময়, নেটওয়ার্কিংয়ের বিষয় তুলে ধরা হয়। এছাড়া শ্রীলঙ্কায় সাম্প্রতিক একটি বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার কর্মসূচি পরিদর্শন করা হয়।

ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক আলমগীর বলেন, ‘এই অঞ্চলে মানসম্মত উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে সর্বোত্তম অনুশীলন কী হবে, ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক, ক্রস কান্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়-সহযোগিতা, ডিজিটালাইজেশন, গ্রিন ট্রানজিশন, নেটওয়ার্কিংয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়। এছাড়া উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় গুণগতমানের জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

এই অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তন, বাণিজ্য, অর্থনৈতিক সংযোগ এবং পরিবহনে ব্যাপক সহযোগিতা হলেও গত এক দশকে মানব উন্নয়নে যথেষ্ট নয় বলে বিশ্ব ব্যাংক মনে করে বলে জানান অধ্যাপক আলমগীর।

আগামী বছর ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নেতৃত্বে এ ধরনের একটি সিম্পোজিয়াম আয়োজন করার পরিকল্পনা এবারের রিজিওনাল কনফারেন্সে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।