আট শিক্ষকের ডাবল এমপিও, কারণ দর্শানোর নির্দেশ

বরিশাল বিভাগের আট জন শিক্ষক একইসঙ্গে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। শুধু তাই নয়, একইসঙ্গে এমপিওভুক্তও রয়েছেন উভয় প্রতিষ্ঠানে। এই শিক্ষককের কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে আট কলেজের অধ্যক্ষদের। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের এমপিও কেন বন্ধ করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। 

রবিবার (১৩ আগস্ট) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করে। নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, বরিশালের বিভিন্ন বেসরকারি কলেজে কর্মরত শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্বৈত চাকরির অভিযোগ পাওয়ায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের বরিশাল আঞ্চলিক অফিস সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের এমপিও বাতিলের চিঠি পাঠিয়েছে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা স্কুল ও মাদ্রাসায় এমপিওভুক্ত থাকার তথ্য গোপন করে গভর্নিং বডির সভাপতি ও অধ্যক্ষের সহায়তায় কলেজে এমপিওভুক্ত হয়েছেন। তাদের দ্বৈত চাকরির কারণে বরিশাল অঞ্চলের বিভিন্ন কলেজে এমপিওভুক্ত হতে না পারা কিছু শিক্ষকের দাখিল করা স্কুল ও মাদ্রাসাগুলোর এমপিও শিট পর্যালোচনা করে বিষয়টির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।

নোটশে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ এর ১১.১৭ ধারা অনুযায়ী দুটি প্রতিষ্ঠানে একইসঙ্গে এমপিওভুক্ত ও কর্মরত থাকা বিধিসম্মত নয়। এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের প্রত্যেকের একইসঙ্গে দুটি এমপিও ইনডেক্স চলমান থাকায় কেন তাদের এমপিও বাতিল করা হবে না এবং কেন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা আগামী পাঁচ কর্মদিসের মধ্যে জানাতে হবে।

অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন– বরগুনা সদরের আয়লা কলেজের ইংরেজির প্রভাষক নিপা আক্তার, বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলা সপ্তগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের বাংলা বিষয়ের প্রভাষক মো. সাইফুর রহমান, একই প্রতিষ্ঠানের ইংরেজির প্রভাষক মো. ওয়াহিদুজ্জামান, ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম কলেজের ইংরেজির প্রভাষক মো. সিরাজ ও ভোলার তমুজউদ্দিন উপজেলার তমুজউদ্দিন হোসনেয়ারা চৌধুরী মহিলা কলেজের ব্যবস্থাপনা বিষয়ের প্রভাষক বিক্রম চন্দ্র দাস।

এছাড়া পটুখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার হাওলাদার ফাউন্ডেশন মহিলা কলেজের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক আঁখি, জেলার দশমিনা উপজেলার ডা. ডলি আকবর মহিলা কলেজের ইসলামি শিক্ষা বিষয়ের প্রভাষক নুরুন্নাহার বেগম ও শরীরচর্চা বিষয়ের মো. বেলার হোসেন।