বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল প্রশাসন ব্যবস্থা চালুর পরামর্শ ইউজিসি’র

২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ডিজিটাল প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি)। সোমবার (২০ নভেম্বর) ইউজিসির ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ই-গর্ভন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবন শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ পরামর্শ দেন সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।

ইউজিসি’র ইনোভেশন টিম দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করে। কমিশনের গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন প্রফেসর ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু।

প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। পেপারলেস অফিস প্রতিষ্ঠা এবং সব ধরনের লেনদেন ইলেকট্রনিক মাধ্যমে করতে হবে। তাহলে কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা যাবে। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতি দমন এবং দ্রুততার সঙ্গে উচ্চশিক্ষা সেবা নিশ্চিত করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বাজার উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। আধুনিক বিজ্ঞান, তথ্য ও প্রযুক্তি বান্ধব সমাজ তৈরিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণা ও উদ্ভাবনে গুরুত্ব দিতে হবে। স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরে বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

ইউজিসি’র ইনোভেশন টিমের সদস্য এবং গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহীন সিরাজ অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন ইউজিনি’র ই-গর্ভন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ফোকাল পয়েন্ট ও সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র দাস। কর্মশালায় কমিশনের অতিরিক্ত পরিচালক, উপপরিচালক ও সমমান পর্যায়ের ৩৯ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।