নার্সিং শিক্ষায় পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানে কোইকা’র আগ্রহ প্রকাশ

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নার্সিং বিষয়ে ডক্টর অব ফিলোসফি (পিএইচডি) ডিগ্রি প্রদানে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছে কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা)।

রবিবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে কোইকা প্রতিনিধি দলের এক মতবিনিময় সভায় এ আগ্রহ প্রকাশ করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন। কোইকা প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ইউনসি ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. লি হিয়ংকিং।

এ সময় ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান, জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন, গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. ফখরুল ইসলামসহ ইউজিসি ও কোইকার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় প্রফেসর লি হিয়ংকিং বলেন, নার্সিং একটি সম্মানিত ও মহৎ পেশা। বাংলাদেশে নার্সিং শিক্ষা অনেক দূর এগিয়ে গেছে এবং এ পেশার যথেষ্ট সম্ভবানা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, জাতীয় নার্সিং উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (নিয়ানার) মাধ্যমে তারা বাংলাদেশে নার্সিং বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি শুরু করতে চান। নিয়ানাতে বর্তমানে নার্সিং বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি চালু রয়েছে। এ খাতে ২০৩০ সালের মধ্যে ৫ হাজার পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানে তারা লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছেন।

প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন বলেন, চিকিৎসা বিষয়ে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা লাভ ও উচ্চতর গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বিভাগীয় পর্যায়ে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করছে। সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোর শিক্ষার মান তদারকির জন্য এগুলোকে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দেশে নার্সিং পেশার যথেষ্ট সম্ভবনা রয়েছে। এ পেশায় দক্ষ জনবলের ঘাটতি রয়েছে। কোইকা’র নার্সিং বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি চালুর বিষয়ে তিনি বলেন, এটি একটি চমৎকার প্রস্তাব। তিনি প্রস্তাবটিকে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতিনিধি দলকে উপস্থাপনের পরামর্শ দেন। দেশের কোনও প্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষা, এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রাম চালুর আগে  প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, ল্যাব ও দক্ষ জনবল রয়েছে কিনা— সেটি ইউজিসি সরেজমিনে পরিদর্শনের পর  সুপারিশ করে বলে তিনি প্রতিনিধি দলকে অবহিত করেন।