শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের সতর্ক করে জরুরি নির্দেশনা মাউশির

শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকা যাতে বেহাত না হয়ে যায়, সে জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের সতর্ক করে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদফতর।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদফতর এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে।

নির্দেশনায় বলা হয়, রাজস্ব খাতভুক্ত সব ধরনের বৃত্তি (পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি ও অনার্স) ও উপবৃত্তির (পেশামূলক ও তফসিলী) অর্থ ইএফটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের তফসিলভুক্ত অনলাইন ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তথ্য বৃত্তির এমআইএস সফটওয়্যারে প্রতিষ্ঠান থেকে এন্ট্রি বা সংশোধন করা হয়।

প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে— সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সাধারণ কলেজ, মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বুয়েট ও পাবলিক বা সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান।

নির্দেশনায় জনানো হয়, বৃত্তি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা মাউশির ওয়েবসাইটের নোটিশ বোর্ডে আপলোড করা হয়। ফলে এ বিষয়ে কোনও তথ্য মাউশি থেকে প্রতিষ্ঠান বা অভিভাবক বা শিক্ষার্থীর থেকে চাওয়া হয় না। কিন্তু সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর, শিক্ষা বোর্ড, বিভিন্ন সরকারি অফিস ও বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে প্রতারক চক্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষার্থীর অভিভাবকের কাছ থেকে অর্থ, প্রতিষ্ঠানের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড, ব্যাংক সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য এবং ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের পাসওয়ার্ড বা পিন নম্বর বা ওটিপি চাচ্ছে। অথচ বৃত্তির অর্থ পাঠানোর জন্য এ সংক্রান্ত কোনও তথ্য চাওয়া হয় না।

বিধায় যেকোনও ধরনের আর্থিক লেনদেন থেকে বিরত থাকার জন্য, ব্যাংক সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের নম্বর বা পাসওয়ার্ড বা পিন নম্বর বা ওটিপি কারও সঙ্গে শেয়ার না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হলো।

এছাড়া প্রতিষ্ঠানের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ডের গোপনীয়তা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুরোধ করা হলো।