‘জুলাই আন্দোলনের ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে’

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, জুলাই আন্দোলনের ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য। শিক্ষার্থীদের এ অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৭ জুলাই) ইউজিসিতে সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্পের ‘র‌্যাপিড নিডস অ্যাসেসমেন্ট’ প্রতিবেদনের সঠিকতা নিরূপণ সংক্রান্ত কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্পে শিক্ষার্থীরা কী ধরনের মানসিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং শিক্ষা ও সামাজিক জীবনে কী প্রভাব ফেলছে তা গবেষণার মাধ্যমে নিরূপণ করার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেওয়ার কাজ চলমান।

দেশের প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা কেন্দ্র গঠন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন অধ্যাপক মাছুমা হাবিব। তিনি বলেন, এটি শিক্ষার্থীদের আচরণ পরিবর্তন এবং পারিপার্শ্বিক চাপ কমাতে সহায়তা করবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রকৃত অবস্থা জানতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আরও বেশি গবেষণা হওয়া দরকার।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মাছুমা হাবিব। প্যানেল আলোচক ছিলেন– ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপক মো. মাহমুদুর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটউট অব হেলথ ইকোনমিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. শাফিউন নাহিন শিমুল র‌্যাপিড নিডস অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট উপস্থাপন করেন।

ইউজিসির ইন্টারন্যাশনাল কোলাবরেশন বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) জেসমিন পারভীন কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহেজাবিন হক, অ্যাসোসিয়েট অধ্যাপক সৈয়দ তানভীর রহমানসহ ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, ইউজিসি ও ইউনেস্কোর কর্মকর্তারা কর্মশালায় অংশ নেন।