বাংলা ট্রিবিউন: ২ বছর

আমি ও বাংলা ট্রিবিউন তো সমবয়সী!

নুসরাত ফারিয়া। ছবি: সাজ্জাদ হোসেন।যখন আমি প্রথম ছবির (আশিকী) জন্য সাইন করি, তখন আমাকে পুরো মিডিয়া নানাভাবে নেতিবাচক কথা বলেছে। কথাগুলো প্রায় এমন ছিল, আমি নাকি কারও স্থানে ছবিতে এসেছি। আমাকে দিয়ে হবে না। এই মেয়ে পারবে না। ওকে দিয়ে ফিল্ম হবে না ইত্যাদি। কাউকে তখন কিছু বলিনি। সব মুখ বুজে সহ্য করেছি। মন দিয়েছি নিজের কাজে।


কারণ, আমার কাছে একটা বিলিভ ছিল, আমি মিডিয়াতে কারও ‘রিপ্লেসমেন্ট’ হতে আসিনি। বিলিভ মি। কারণ আমি আমার নিজের নামটা অনেক কষ্ট করে শেষ আড়াই-তিন বছরে মোটামুটি ‘স্টাবলিস্ট’ করেছি। উপস্থাপনার পর ফিল্মটা আমার ক্যারিয়ারে নতুন ব্রেকডাউন দিচ্ছিল।

ইভেন কলকাতায় যখন শুটিং করতে যাই প্রথম, তখন সেখানকার মানুষও আমাকে নিয়ে কম কানাকানি করেনি। তারা বলেছিল- একটা বাঙালি মেয়ে আসছে, কী করবে এখানে? তাকে তো এখানে (টলিউড) একসেপ্ট করবে না। এসব কথা।

তখনও আমি যেটা বিশ্বাস করতাম, এখনও তাই বলছি। খুবই আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলছি, আমি কখনও কারও জায়গা নিতে আসিনি। আমার জায়গাটা কেউ নিতে পারবে না। সো ইটস অল এবাউট বিং ইউর সেলফ। আমি আজীবন নিজের মতো থাকার চেষ্টা করেছি। নিজের মতো হওয়ার চেষ্টা করেছি।

এবার মিডিয়া প্রসঙ্গে আসি, একজন শিল্পীর সঙ্গে একটা পত্রিকার সম্পর্ক মূলত নিউজকেন্দ্রিক। নিউজের সুবাদের একটা আত্মিক সম্পর্কও তৈরি হয় কখনও। সাধারণত দেখা যায়, যখন একজন মানুষ স্টার হয়ে যায়, তখন তাকে আরও বড় স্টার বানানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে ওঠে মিডিয়াগুলো।

এটাও বলে রাখি, আমি তাদের মতো নই, যারা নেগেটিভ নিউজ করলে মন খারাপ করে। বরং আমি এটাকে ধরে নিই ‘কুল জার্নালিজম’ হিসেবে। একজন শিল্পী বা তারকাকে নিয়ে শুধু প্রশংসাই হবে, তা তো হতে পারে না। তাকে নিয়ে যৌক্তিক সমালোচনাও হতে পারে। 

বাট আমার ক্ষেত্রে একটু ভিন্ন রূপে ধরা দিয়েছে বাংলা ট্রিবিউন পরিবার। যখন আমি ছোট তারকা, এই সংবাদ মাধ্যমটি তখন থেকেই আমার পাশে ছিল। তাছাড়া এক হিসেবে আমি ও বাংলা ট্রিবিউন তো সমবয়সী! ফিল্মে আমার ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ দু’বছর। বাংলা ট্রিবিউনেরও তাই।

আমার চোখে বাংলা ট্রিবিউনের একটা বড় গুণ, শুরু থেকেই আমার ক্যারিয়ারের ছোট ছোট খবরগুলোকে খুব গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে। এমন অনেক মজার খবর তারা প্রকাশ করেছে, যেটা পড়ার পর মনে হয়েছে, এটা তো ভালো খবর ছিল! মানে খবরটি প্রকাশের আগে আমি ধারণাই করতে পারিনি, এটাও এত সুন্দর করে উপস্থাপন করা যায়। আর বড়সড় খবর আর ফটোশুটের অনেক গল্প তো আমাদের রয়েছেই।

যাই হোক, আমার সুখে-দুঃখে সব সময় বাংলা ট্রিবিউন বন্ধুদের সঙ্গে পেয়েছি। সবমিলিয়ে বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আমার অন্যরকম একটা রসায়ন রয়েছে। আমার বিশ্বাস আমাদের এ সম্পর্ক বেঁচে থাকবে। চলো একসঙ্গে এগিয়ে যাই। শুভ জন্মদিন বাংলা ট্রিবিউন।

/এমএম/